কলকাতা, ২৭ অক্টোবর: Kali Puja 2019: আলোর উৎসবে ভাসার দিন আজ, রবিবার। মা কালীর পুজো আজ। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে অনুষ্ঠিত সাংবাৎসরিক দীপান্বিতা কালীপূজো বিশেষ জনপ্রিয়। সকাল থেকে কালীঘাট (Kalighat) , দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar Kali Temple), তারাপীঠ (Tarapith) সহ রাজ্যের বিভিন্ন কালী তীর্থগুলিতে ভক্তদের ঢল নেমেছে। সকলের মনের অন্ধকার দূর করে আলোয় ভরিয়ে দিক এই প্রার্থনা করেই আজ সকাল শুরু করেছে বাঙালি। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই কালী পুজো (Kali Puja) করা হয়।
দেবী কালীর (Kali) অসংখ্য নামের মধ্যে দক্ষিণ, সিদ্ধ, গুণ্য, ভদ্র, শ্মশান, রক্ষা ও মহাকালী। দেবী কালীর আবির্ভাব সম্পর্কে বলা হয়েছে যে দেবতা আর অসুরদের যুদ্ধে পরাজিত দেবতাদের প্রার্থনায় আদ্যাশক্তি ভগবতি পার্বতীর দেহ কোষ থেকে দেবী কৌশিকী আবির্ভূত হন। তখন ভগবতী দেবী কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেন বলে তাঁর নাম কালী বা কালিকা। আরও পড়ুন-কালী পুজো উপলক্ষে আপনার পরিজন-বন্ধুদের পাঠিয়ে দিন এই বাংলা Facebook Greetings, WhatsApp Status, GIFs, HD Wallpapers এবং SMS শুভেচ্ছাগুলি
কথিত আছে বঙ্গদেশে দক্ষিণ কালিকার পুজো প্রবর্তন করেন কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ (Krishnananda Agamavagisha) (আনুমানিক ১৫০০-১৬০০ শতক) মতান্তরে ১৭৭৭ খ্রিষ্টাব্দে। কালীনাথ রচিত ‘শ্যামা সপর্যাবিধি'তে এই পুজোর সর্ব প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রচলিত মত ও ইতিহাসবিদদের সমর্থন অনুযায়ী, কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে প্রথম দক্ষিণাকালীর রূপ কল্পনা করেন। বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠিত মা কালীর রূপেই সম্পূর্ণ বাংলা ও তার বাইরে কালীপুজো হয়।
স্বাভাবিকভাবেই পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যাস্ত কালীপুজোর উদ্যোক্তারা। মণ্ডপসজ্জা থেকে প্রতিমার শেষ তুলির শেষ টান দিতে ব্যস্ত শিল্পীরাও। ইতিমধ্যেই শহরের কোথাও কোথাও আলোর রোশনাই শুরু হয়ে গেছে। দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে লেগেছে থিমের ছোঁয়া। দেখে নেব কলকাতার পুজোগুলির কোথায় কী থিম, কোথায় এবার কেমন সাজছে প্রতিমা। বিভিন্ন ক্লাবের কালীমূর্তিতে থাকছে নানা বৈচিত্র। কেউ বা সাবেক রীতি আঁকড়ে রেখে দর্শক টানেন, কেউ আবার দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজোতেও থিমের চমকে মেতেছেন। থাকছে আলোর ক্ষেত্রেও নতুনত্ব।