Kali Puja Wishes In Bengali: রাত পোহালেই কালী পুজো (Kali Puja)। দেবী কালী বা কালিকা হলেন আদ্যাশক্তি। দশমহাবিদ্যা নামেও পরিচিত। শাক্ত মতে, কালী বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ। 'ব্রহ্মযামল' তন্ত্রগ্রন্থে দেবী কালীকে বঙ্গদেশের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। 'হরিবংশ' গ্রন্থে কালী নামে এক দানবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। 'তোড়লতন্ত্র' অনুসারে, কালী আট প্রকার। অভিনব গুপ্তের 'তন্ত্রালোক' ও 'তন্ত্রসার' গ্রন্থ দুটিতে কালীর ১৩টি রূপের উল্লেখ আছে। 'জয়দ্রথ যামল' গ্রন্থে কালীর ১০টি রূপের উল্লেখ মেলে। ১৭৭৭ সালে কাশীনাথ রচিত 'শ্যামাসপর্যাবিধি' গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথির এই কালী পুজো দীপান্বিতা কালী (Dwipanwita Kali) নামেই পরিচিত।
‘কালী’শব্দটি ‘কাল’শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ। এই শব্দের অর্থ ‘কৃষ্ণ’বা ‘ঘোর বর্ণ'। হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত-এ যে ভদ্রকালীর উল্লেখ আছে, তা দেবী দুর্গারই একটি রূপ। মহাভারতে ‘কালরাত্রি’ বা ‘কালী’নামে আরও এক দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘কাল’শব্দের দুটি অর্থ রয়েছে। এক‘নির্ধারিত সময়’এবং অন্যটি ‘মৃত্যু'। কিন্তু দেবী প্রসঙ্গে এই শব্দের মানে "সময়ের থেকে উচ্চতর।" সমোচ্চারিত শব্দ ‘কালো’র সঙ্গে-এর কোনো সম্পর্ক নেই। তবে সংস্কৃত সাহিত্যের বিশিষ্ট গবেষক টমাস কবার্নের মতে, ‘কালী’ শব্দটি ‘কৃষ্ণবর্ণ’ বোঝানোর জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে। প্রকৃত অর্থে কাল (সময়)-কে যিনি রচনা করেন তিনিই (কাল+ঈ) কালী। কালী পুজোর সকালেই 'লেটেস্টলি বাংলা' আপনাদের জন্য সাজিয়ে এনেছে শুভেচ্ছাপত্র (Wish-Card)। আপনার পরিবার ও বন্ধুদের পাঠিয়ে দিন এই সব শুভেচ্ছা বার্তাগুলি। আরও পড়ুন: কালী পুজো ২০১৯: নিষিদ্ধ হল চিনা বাজি, ফানুসেও আপত্তি কলকাতা পুলিশের
WhatsApp Message Reads: ওঁ ক্রীং ক্রীং হৃং হৃং হিং হিং দক্ষিণে কালীকে
ক্রীং ক্রীং ক্রীং হৃং হৃং হ্রীং হ্রীং হ্রীং স্বহা
ওঁ কালী কালী মহাকালী কালীকে পাপহারিণী
ধর্মার্থমোক্ষদে দেবী নারায়ণী নমোস্তুতে
শুভ কালী পুজো
WhatsApp Message Reads: কালো মেয়ের পায়ের তলায়
দেখে যা আলোর নাচন
শুভ কালী পুজো
WhatsApp Message Reads: মা কালীর আলোকবর্ণে
ধুয়ে যাক যত আছে কালো
মুছে যাক মনের কোনে জমে থাকা
কালিমার আস্তরণগুলো
শুভ কালী পুজো
WhatsApp Message Reads: কালী পুজোর
প্রীতি ও শুভেচ্ছা
শুভ কালী পুজো
কথিত আছে, নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় (Krishnachandra Roy) অষ্টাদশ শতকে তার সকল প্রজাকে শাস্তির ভীতি প্রদর্শন করে কালী পুজো করতে বাধ্য করেন। সেই থেকেই নদিয়ায় (Nadia) কালীপুজো বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। কৃষ্ণচন্দ্রের পৌত্র ঈশানচন্দ্রও বহু অর্থ ব্যয় করে এই পুজোর আয়োজন করতেন।