ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে সারা দেশে পালিত হয় হোলিকা দহন উৎসব। তার ৮ দিন আগে থেকে তথা ফাল্গুন অষ্টমী থেকে পালিত হয় হোলাষ্টক। হোলাষ্টকের ৮ দিনকে অশুভ মনে করা হয়, তাই এই ৮ দিনে কোনও শুভ কাজ করা হয় না। ২০২৪ সালে ১৭ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত চলবে হোলাষ্টক। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, হোলাষ্টকের সময় অকেজো হয়ে যায় যেকোনও আশীর্বাদ। এবার জেনে নেওয়া যাক হোলাষ্টকের ৮ দিন কেন অশুভ এবং এই দিনগুলোতে কোন গ্রহ কোন দিন অশুভ প্রভাব ফেলে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, হোলাষ্টকের সময়ে ৮টি গ্রহই হিংস্র প্রকৃতির হয়ে ওঠে। এমন সময় গ্রহের এই অবস্থানের ফলে শুভ কাজ করতে নিষেধ করা হয়। মান্যতা রয়েছে, এই সময়ে শুভ কাজ বা নতুন কাজ শুরু করলে সাফল্য পাওয়া যায় না। এই সময় গ্রহের প্রভাবের কারণে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় মানুষ তার প্রকৃতির বিপরীত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। রোগ, দুর্দশা, এমনকি অকালমৃত্যুর মতো পরিস্থিতির সন্মুখীন হতে হয় এই সময়ে।
শাস্ত্র অনুযায়ী, হোলির আগের আট দিন হিরণ্যকশ্যপ তাঁর পুত্র প্রহ্লাদকে নানাভাবে নির্যাতন করেছিলেন, যাতে প্রহ্লাদের ভগবান বিষ্ণুর প্রতি ভক্তি নষ্ট হয়ে যায়। তাই হোলাষ্টকের এই ৮ দিনকে গণ্য করা হয় নির্যাতনের দিন হিসেবে। হোলাষ্টকের সময় গ্রহের অশুভ প্রভাব পড়ে, তাই এই সময় বিবাহ, মুণ্ডন, গৃহের পুজোর মতো শুভ কাজ, হোম যজ্ঞ বা নতুন বিনিয়োগ করা উচিত নয়।
- হোলাষ্টকের প্রথম দিন তথা ফাল্গুন অষ্টমী তিথিতে চাঁদ উগ্র থাকে।
- হোলাষ্টকের দ্বিতীয় দিন তথা নবমী তিথিতে সূর্য প্রখর হয়।
- হোলাষ্টকের তৃতীয় দিন তথা দশমী তিথিতে শনি ক্রুদ্ধ থাকে।
- হোলাষ্টকের চতুর্থ দিন তথা শুক্র একাদশী তিথির অশুভ প্রভাব পড়ে।
- হোলাষ্টকের পঞ্চম দিন তথা দ্বাদশী তিথিতে বৃহস্পতির নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
- হোলাষ্টকের ষষ্ঠ দিন তথা ত্রয়োদশী তিথিতে বুধ ক্রুদ্ধ থাকে।
- হোলাষ্টকের সপ্তম দিন তথা চতুর্দশী তিথিতে মঙ্গল ক্রুদ্ধ থাকে।
- হোলাষ্টকের অষ্টম দিন তথা পূর্ণিমার দিনে রাহু গ্রহের প্রকৃতি উগ্র হয়।