১৯৬০ সালের ১ মে, বোম্বে তথা বর্তমান মুম্বাই থেকে পৃথক হয়ে একটি স্বাধীন রাজ্যের মর্যাদা পায় গুজরাট। স্বাধীন রাজ্য গঠন হওয়ার আগে করতে হয়েছে অনেক সংগ্রাম। সেই সময়ে গুজরাটি ভাষাভাষীরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পাশাপাশি করেছিল মিছিল, ধর্মঘট ও বিক্ষোভ। ২০২৪ সালের ১ মে গুজরাট পালন করবে ৬৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবস। গুজরাটের মানুষরা ‘গুজরাট প্রাইড ডে’ হিসেবে পালন করে এই দিনটিকে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক এই দিনের ইতিহাস।
১৯৬০ সালের আগে বোম্বাইয়ের অংশ ছিল গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র। ১৯৫৬ সালের রাজ্য পুনর্গঠন আইনের অধীনে গঠিত হয়েছিল অনেকগুলি স্বাধীন রাজ্য। তেলেগু ভাষাভাষীদের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ, কন্নড় ভাষাভাষীদের জন্য কর্ণাটক, মালয়ালম ভাষাভাষীদের জন্য কেরালা এবং তামিল ভাষাভাষীদের জন্য তামিলনাড়ু রাজ্য। তবে গুজরাটি ও মারাঠি ভাষাভাষীদের জন্য ভিন্ন রাজ্য গঠনের বিষয়ে সরকারের নীরবতা তাদের সংগ্রামের পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছিল। ১৯৫৬ সালে আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা। কিছুদিনের মধ্যে এই আন্দোলন রূপ নেয় ‘মহা গুজরাট আন্দোলনে’।
ধীরে ধীরে মহাগুজরাট আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সুরাট, রাজকোট, নদিয়াদ, জুনাগড়, ভাদোদরা, সাইলা, ভাবনগর, ডাকোর, পানালপুর, ভুজ, বোটাট, আমরেলি, পারদি, বাভলা, আনন্দ সহ সমগ্র গুজরাটে। চার পড়ুয়ার মৃত্যুর পর শুরু হয় খাম্ভী সত্যাগ্রহ, যা চলে প্রায় ২২৬ দিন। এই সত্যাগ্রহ শক্তি জোগায় মহাগুজরাট আন্দোলনে। এই সময় গঠিত হয় মহাগুজরাট জনতা পরিষদ, যার পর আন্দোলন নতুন শক্তি পায়। অবশেষে, ১৯৬০ সালের ১ মে, কেন্দ্রীয় সরকার 'রাজ্য পুনর্গঠন আইন ১৯৫৬'-এর ভিত্তিতে বোম্বেকে দুটি ভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত করে। একটি গুজরাট এবং অন্যটি মহারাষ্ট্র।