মারাঠি নববর্ষ পরিচিত গুড়ি পাড়োয়া উৎসব নামে। ঐতিহ্যবাহী হিন্দু চন্দ্র ক্যালেন্ডার শুরু হয় গুড়ি পাড়োয়া উৎসবের মধ্য দিয়ে এবং এই উৎসব অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে মহারাষ্ট্রে বিশেষ করে মুম্বাইতে পালিত হয়। গুড়ি পাড়োয়ার দিন বের করা হয় একটি বিশাল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা মুম্বাইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান, এই শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হয় মহারাষ্ট্রের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
গুড়ি পাড়োয়ার শোভাযাত্রাটি সাধারণত শুরু হয় একটি মন্দির বা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে এবং রাস্তার মধ্য দিয়ে যায় একটি নির্বাচিত স্থানে পৌঁছে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় দেখতে পাওয়া যায় ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত, নৃত্য এবং সজ্জা সহ মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতি প্রদর্শন। ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে, হাতে গুড়ি এবং অন্যান্য প্রতীকী জিনিসপত্র নিয়ে এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে সকলেই। এই দিনে রঙ্গোলি দিয়ে সাজানো হয় রাস্তা, বাড়িঘর সাজানো হয় ফুলে। চারিদিকে দেখতে পাওয়া যায় আনন্দের পরিবেশ।
গুড়ি পাড়োয়া শুধু মহারাষ্ট্রের নতুন বছরের উদযাপন নয়, এই উৎসবের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয় মহারাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। গুড়ি পাড়োয়া শোভা যাত্রা মানুষকে একত্রিত করে। এই শোভাযাত্রা জনগণের বন্ধনকে শক্তিশালী করে। শোভাযাত্রা ছাড়াও মুম্বাইতে আরও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয় গুড়ি পাড়োয়া। এই দিনে সবাই নিজেদের বাড়ি পরিষ্কার করে রঙ্গোলি তৈরি করে। ফুল এবং আমের পাতা দিয়ে সাজানো হয় বাড়ির প্রবেশ দ্বার। এদিন প্রায় সকল বাড়িতেই তৈরি করা হয় মহারাষ্ট্রীয় ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি পুরান পোলি এবং শ্রীখণ্ড। এই উৎসবের মাধ্যমে বেড়ে ওঠে রাষ্ট্রের ঐতিহ্য ও রীতিনীতির প্রতি গর্ববোধ।