হিন্দু ধর্মে শ্রীমদ্ভাগবত গীতার গুরুত্ব অপরিসীম। হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হয় গীতা। পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে পালন করা হয় গীতা জয়ন্তী। ২০২৪ সালে গীতা জয়ন্তী উৎসব পালন করা হবে ১১ ডিসেম্বর, বুধবার। মোক্ষদা একাদশী উপবাসও পালন করা হয় এই দিনে। জ্যোতিষীদের মতে, মহাভারত যুদ্ধের সময়, যেদিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে উপদেশ দিয়েছিলেন সেই দিনটিও ছিল অগ্রহায়ণ শুক্লপক্ষের একাদশী।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অগ্রহায়ণ শুক্লপক্ষের একাদশীর দিনে গীতার উপদেশ দিয়েছিলেন, তাই এই দিনটিকে ভগবত গীতার জন্ম বা জন্মবার্ষিকী হিসেবে পালন করা হয়। ভগবদ্গীতা শুধু একটি ধর্মীয় গ্রন্থ নয়। গীতার শিক্ষায় জীবন বিধান, ধর্মের অনুসরণ এবং কর্মের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়। এছাড়াও গীতার মাধ্যমে কৃষ্ণ এমন শিক্ষা দিয়েছেন, যা ঈশ্বরের জ্ঞান, আত্মা এবং সৃষ্টির নিয়মকে স্পষ্ট করে। এটি কর্ম, ধর্ম এবং মোক্ষের মতো বিষয়গুলি সম্পর্কে বলে।

ভগবদ্গীতা পাঠ করলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়, সাহসী ও নির্ভীক হয় এবং সর্বদা কর্তব্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা পাওয়া যায়। বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের নিজস্ব ধর্মীয় গ্রন্থ রয়েছে। হিন্দু ধর্মেও অনেক ধর্মীয় গ্রন্থ রয়েছে। কিন্তু গীতা পৃথিবীর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যার জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়, এর কারণ হল গীতা এমন একটি গ্রন্থ যা স্বয়ং শ্রী কৃষ্ণের মুখ থেকে জন্মেছিল। গীতায় উল্লিখিত প্রতিটি শ্লোক ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ থেকে এসেছে, তাই জন্মবার্ষিকী পালন করা হয় শ্রীমদ্ভাগবত গীতার।