দশেরা উৎসব ও বিজয়া দশমী (Photo Credits: Wikimedia Commons and Flickr)

দেশজুড়ে চলছে দশেরা উৎসব। উত্তর থেকে দক্ষিণ চলছে অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে শুভ শক্তির আগমন। বিজয়া দশমীর এই শুভ দিনে পালিত হয় দশেরা উৎসব। দিল্লির রামলীলা ময়দান, মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে চন্ডীগড়ে চলছে রাবণ দহন। অশুভ শক্তির বিনাশ। শুভ শক্তির সূচনা। প্রতিবছরের মতো এবারও পালিত হল দশেরা উৎসব।

‘দশেরা’ অথবা ‘বিজয়া দশমী’— যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এই বিশেষ দিনটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে রয়েছে ১০ সংখ্যাটি এবং অবশ্যই কোনও একটি ‘বিজয়’-এর প্রসঙ্গ। শাস্ত্রজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সংস্কৃত ‘দশ’ শব্দের অর্থ সূর্যের অনুপস্থিতি এবং ‘হর’ শব্দটির অর্থ ‘পরাজয়’। এর দ্বারা লঙ্কাধিপতি রাবণের সাম্রাজ্যের সূর্যাস্তকে বোঝানো হয়। একই সঙ্গে ‘বিজয়া দশমী’ মা দুর্গার হাতে মহিষাসুরের পরাভবকেও ব্যক্ত করে। মহিষাসুরই হোন আর রাবণই হোন, এই দিনটি আসলে অশুভ শক্তির পরাজয়কেই মনে করায়। আরও পড়ুন, দশমীতে বিদায়ের সুর, রীতি মেনে মাকে বিদায় শোভাবাজার রাজবাড়িতে

 

চন্ডীগড়ে ২২১ ফুটের রাবণের কুশপুত্তলিকা দহন করা হয়। ভারতের সবচেয়ে বড় কুশপুত্তলিকা বানানো হয়েছে এই চন্ডীগড়ে। নাগপুরেও আজ উদযাপিত হয়েছে দশেরা। সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য রাজ্যের নেতারাও দশেরার শুভেচ্ছা জানান। দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুভ কামনা করেন।