দুর্গাপুজো মানেই হইহই, সারারাত জেগে ঠাকুর দেখা আর প্রচুর খাওয়া দাওয়া। কবজি ডুবিয়ে না খেলে আর, কী উৎসব পালন করলাম? অনেকেই পুজোর এই চারদিন বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার পাট রাখেন না। বাইরেই খান। আর এই খাবার দাবারের অধিকাংশই হল তেল, ঝাল এবং মশলাদার খাবার। আর এ হেন খাবারে পেটের সমস্যা হওয়া একেবারে অবশ্যম্ভাবী! কিন্তু তাই আগে থেকেই পেটকে সুস্থ রাখতে মাথায় রাখুন এই তথ্যগুলো-
গাজর (Carrot): গাজরের রস নানান রোগ ব্যাধি দূর করতে ভীষণই সাহায্য করে থাকে। তাই আপনি যদি পেট সুস্থ রাখতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত খেতে হবে গাজরের রস। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম সহ একাধিক পুষ্টিগুণ।
তুলসি (Holy Basil): জ্বর হোক কিংবা সর্ধ কাশি, সাধারণ এই রোগ ব্যাধি কমাতে এই ভেষজের কোনও তুলনাই হয় না। পেটের যত্ন নিতেও সাহায্য করে থাকে তুলসি। তাই নিয়মিত তুলসি পাতা জলে ফুটিয়ে খান। উপকার পাবেন।
তরমুজ (Watermelon): তরমুজ পেট ঠাণ্ডা করতে ভীষণই সাহায্য করে থাকে। আবার হজমের সমস্যাও দূর করে। তাই পেট ভালো রাখতে তরমুজের সরবত খেতেই পারেন, কিন্তু বেশি খাবেন না। তাহলেই গণ্ডগোল!
টকদই (Curd)- বিশেষজ্ঞদের দাবি, সারাদিন যা খুশি খান, রাতে শোওয়ার আগে বাড়িতে পাতা টকদই খেয়ে নিন একটু। এটি পেটে লিক্যুইড সোপের মত কাজ করবে। খাবারের তেল-মশলা কাটিয়ে দেবে।
গোলমরিচ(Black Peeper)-যদি অ্যালকোহল বেশি খেয়ে ফেলেন, তাহলে গরম জলে গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে খেতে পারেন। এর ফলে অন্য কোনও সাইড এফেক্ট হবে না।
চিজ(Cheese)- বা চকোলেট- খুব মশলাদার কিছু খাওয়ার পর চিজ বা চকোলেট খেয়ে ফেলে খাবারের বাজে গুণের প্রভাব শরীরে নষ্ট হয়। শরীর খারাপ করার সম্ভাবনা কমে যায়।
মধু(Honey) - রাতে ভাত বা রুটি আপাতত কদিন বাদ দিয়ে দিন। খিদে পেলে অন্য কিছু খান। আর যদি মনে হয় বেশি বিরিয়ানি, চাউমিন, মাংস, মশলাদার খাবার খেয়ে ফেলেছেন, তাহলে একগ্লাস উষ্ণ জলে মধু মিশিয়ে খান। সুযোগ হলে দারচিনি গুঁড়োও মিশিয়ে নিতে পারেন।
পাতিলেবু(Lime)- সব থেকে ভাল হল পাতিলেবু। এক গ্লাস গরম জলে একটা পাতিলেবু চিপে খেয়ে নিন। এতে হজমও হবে। পেট পরিষ্কার হবে। মদ থেকে খাবারের অতিরিক্ততার কুপ্রভাব নষ্ট করবে। এমনিতেও সারা বছর খেতে পারেন।
যোগাসন (Yoga)- সুযোগ হলে সকালে বা সন্ধ্যেবেলা একটু আসন অভ্যাস করতে পারেন। তাতে শরীর চাঙ্গা থাকে। যে কোনও বাইরের খাবার বা ভাইরাল-ব্যাকটেরিয়াল কুপ্রভাব দূরে থাকে।