৭ ডিসেম্বর ভারতের জন্য একটি গর্বের দিন, এই দিনে পালন করা হয় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পতাকা দিবস। সেনাবাহিনী যখন স্থলে প্রস্তুত থাকে, তখন বিমান বাহিনী আকাশে নজরদারি রাখে এবং ভারতের সমুদ্রপথ ও সীমান্ত নিরাপদ রাখতে প্রস্তুত থাকে দেশের নৌবাহিনী। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সৈন্যদের কল্যাণে এবং দেশের সেনাবাহিনীকে সম্মান জানাতে পালন করা হয় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পতাকা দিবস। স্বাধীনতার পর ১৯৪৯ সালে প্রথমবার পালন করা হয় ভারতীয় সশস্ত্র পরিষেবা পতাকা দিবস।
ভারতীয় সশস্ত্র পরিষেবা পতাকা দিবস পালন করার পিছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। বহু দশক ধরে ব্রিটিশদের দাস ছিল ভারত। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন হয় দেশ। এরপর ভারতের সংবিধান প্রণীত হয় এবং একটি গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয় ভারত। এরপর দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের সীমান্ত রক্ষা করা। এই জন্য সৈন্যবাহিনীর অস্তিত্ব আসে এবং ধীরে ধীরে শক্তিশালী হতে থাকে। স্বাধীনতার ২ বছর পর, ১৯৪৯ সালের ২৮ আগস্ট ভারতীয় সৈন্যদের কল্যাণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে ভারত সরকার।
প্রতিবছর ৭ ডিসেম্বর পতাকা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় সেনা সদস্যদের কল্যাণে গঠিত কমিটি। তহবিল সংগ্রহের জন্য মানুষের মধ্যে ছোট পতাকা বিতরণ করে এবং তা থেকে অনুদান সংগ্রহ করে এই কমিটি। তখন পতাকার তিনটি রং ছিল লাল, গাঢ় নীল এবং হালকা নীল। এই তিনটি রং সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে। পতাকার মাধ্যমে অনুদান সংগ্রহের পেছনে কমিটির তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমত, যুদ্ধের সময় প্রাণহানির বিষয়ে সহযোগিতা করা। দ্বিতীয়ত, সেনাসদস্য ও তাদের পরিবারের কল্যাণ ও সহায়তা প্রদান এবং তৃতীয়ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ও তাদের পরিবারের কল্যাণ প্রদান।