ধর্ষণ রোধে বাজারে এখন সুপার সংস্কারি শাড়ি, অনলাইনে আজই অর্ডার করুন
ধর্ষণ প্রতিরোধক শাড়ি( Photo Credit: https://www.sanskari-saree.com/red)

ধর্ষণ(Rape) ভারতীয় উপমহাদেশে মহামারীর আকার নিয়েছে। কলেরা, টাইফয়েড হলে তা সারানোর জন্য ডাক্তার বদ্যিকে ডাকতে হত। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঝাঁপিয়ে পড়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিত, এক্ষেত্রে কিন্তু তেমনটা ঘটে না।  বরং নির্যাতিতাকেই দোষী হিসেবে চিহ্নিত করে চলে নানারকম মানসিক নির্যাতন। পরিবারটিকে একঘরে করে দেওয়া হয়। এমনভাবে বিষয়টির উপস্থাপনা হয় যেন ওই তরুণীর ইচ্ছেতেই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে। এজন্য দায়ী তাঁর সংক্ষিপ্ত পোশাক পরিচ্ছদ(Dress up)।

দুএকজন মানুষ এমন ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের যন্ত্রণা বাড়াতে পারে। কিন্তু সেই তালিকাটা দীর্ঘ হলেই বিপদ। হয়েছেও তাই, দিল্লির মধ্যবয়সী মহিলা দাবি করেছেন ধর্ষণের মূল কারণ মেয়েদের ছোটখাটো পোশাক। তাঁকে সমর্থনের জন্য জনগণের অভাব ঘটেনি। এই বিষয়টিকেই কেন্দ্রবস্তু ধরে নিয়ে চরম ঠাট্টার অবতারণা করেছেন আমেরিকা প্রবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত তানভি টন্ডন (Tanvi Tondon)ও তাঁর সহকারী একদল যুবক। হিলি হলিডে ও বিবিডিও(Hill Holiday BBDO)নামের দুটি সংস্থার যৌথ দায়িত্বে ভারতের বাজারে এল ধর্ষণ প্রতিরোধক শাড়ি(Rape Proof Saree)। তানভি নিজেএকজন কনটেন্ট রাইটার তাঁর সঙ্গে একাজে সহযোগিতা করেছেন দুজন শিল্প নির্দেশক। তাঁদের হাত দিয়েই তৈরি হয়েছে শাড়িটি। যিনি এটি পরবেন তাঁর মাথা ও মুখের উপরের দিকের অংশ উন্মুক্ত থাকবে। সমাজের মুখে বড়সড় থাপ্পড় দিতেই নাম দেওয়া হয়েছে সুপার সংস্কারি শাড়ি। এই শাড়ি পরলে মহিলাকে মমির মতো দেখতে লাগবে। তাহলেই নাক আর ধর্ষণের মতো নোংরা ঘটনা ঘটবে না।

দুঃখের বিষয় ভারতীয় আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এই ধারণা যে কতটা বিরক্তির পরিচয় দেয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা তাহলে তিন মাসের শিশু ধর্ষেকর লালসার বলি হত না। যাকগে, আসল কথায় ফিরি অনলাইনে যেকেউ এই শাড়ি কিনতে পারবেন। ১০০ থেকে ২০০ এমনকী, ৫০০ টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে সংস্কারি শাড়ি। হিলি হলিডে ও বিবিডিও-র তরফে জানানো হয়েছে ব্যবসার উদ্দেশ্যে নয় এই শাড়ি বিক্রির টাকা যাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের উন্নতিকল্পে। যাতে তাঁরাই একদিন প্রাতিষ্ঠানিক ও মানসিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ধরনের নিম্ন ধারণাকে সমূলে উচ্ছেদ করতে পারেন।