মুম্বই, ৩ জুলাই: মাত্র ৪৫ বছর বয়েসে বিধানসভার স্পিকার হলেন বিজেপি বিধায়ক রাহুল নরওয়েকার। রবিবার মহারাষ্ট্র বিধানসবার নির্বাচনে শিবসেনার রঞ্জন সালভে ১৬৮-১০৭ ভোটে পরাস্ত করেন রাহুল। স্পিকার ভোটের ফলেই পরিষ্কার, এখন মহরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বিজেপি-একনাথ জুটির ধারেকাছেই নেই উদ্ভব ও দুই কংগ্রেসের জোট। মনে করা হচ্ছেল এই নির্বাচন বেশ কঠিন হতে চলেছে। কিন্তু কোথায় কী! হোটল থেকে বিধায়কদের তুলে আনা থেকে শুরু করে বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে ভোট নিজেদের পকেটে আনা।
সিংহাসন দখল ও ধরে রাখার লড়াইয়ে পদ্ম শিবিরের স্ট্র্যাটেজি একেবারে নিখুঁত থাকল। আরও একবার পদ্ম অপরাশেনে ধরাশায়ী হল ছন্নছাড়া বিরোধী শিবির। আড়াই বছর মসনদে থেকেও দলের নেতাদের মন বুঝতে না পেরে উদ্ভবের ভরাডুবি হল। আরও পড়ুন: ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক, অভিযুক্ত সরকারি স্কুলের শিক্ষক
দলবদলের রাজনীতি দেশে নতুন নয়। বিশেষ করে মহরাষ্ট্রকে বদবদলের রাজনীতির রাজধানী বলা যায়। মারাঠা ভূমের প্রধান চার দল-বিজেপি, কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনা-র নেতারা আজ ও দল, তো কাল ও দল করেন। মহারাষ্ট্রের নব নির্বাচিত স্পিকার রাহুল নরওয়েকারও কংগ্রেস ছাড়া সব দলই ঘুরে নিয়েছেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক রাহুল নরওয়েকারকে নিয়ে কিছু কথা-
১) শিবসৈনিক- রাহুল বেশ কয়েকবছর শিবসেনা করেছিলেন। কিন্তু শিবসেনা তাঁকে প্রার্থী না করায় শরদ পওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন
২) তীর ধনুক ছেড়ে ঘড়িতে- ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে এনসিপি-র টিকিটে দাঁড়িয়ে খারাপভাবে হেরেছিলেন। মাভাল কেন্দ্র থেকে লড়ে তৃতীয় হয়েছিলেন।
৩) সময় খারাপ দেখে ঘড়ি ছেড়ে পদ্মাসনে- তাঁর এলাকায় এনসিপি-র হাল খারাপ থেকে ফের দলবদল করেন রাহুল নরওয়েকার। এরপর রাহুল যোগ দেন বিজেপি-তে। ২০১৬ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভার উচ্চকক্ষে মনোনিত হয়েছিলেন। এরপর ২০১৯ মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র টিকিটে কোলাবা থেকে জিতে প্রথমবার বিধায়ক হন।
৪) জামাই- শ্বশুর- রাহুল হলেন মহারাষ্ট্রের দাপুটে নেতা রামরাজে নায়েক নিম্বালকরের জামাই। রামরাজে আগে মহারাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। এখনও তিনি এনসিপি-তে বড় পদে আছেন।
৫) পরিবারতন্ত্র- রাহুলের বাবা কোলাবা অঞ্চলের জনপ্রিয় পৌরপিতা বা কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁর দাদা মারকাণ্ড নরওয়েকার দুবারের কাউন্সিলর। রাহুলের শ্যালিকাও কোলাবা অঞ্চলের কাউন্সিলর।