Photo Credits: Wikimedia Commons

মুম্বই: জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির (abrogation of Article 370) পর বিতর্কিত হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস (WhatsApp status) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল একটি কলেজের অধ্যাপকের (college professor) বিরুদ্ধে। এর জেরে মামলাও (case) দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলাটি খারিজ (quash) করার আবেদন জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই অধ্যাপক। কিন্তু, তাঁর আবেদনে সাড়া না দিয়ে সেটি খারিজ করে দিল বম্বে হাইকোর্ট।

সম্প্রতি জাভেদ আহমেদ হাজাম বনাম স্টেট অফ মহারাষ্ট্র এবং এএনআর মামলায় বম্বে হাইকোর্টে এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে যে কোনও স্পর্শকাতর বিষয়ে সম্পূর্ণ পরিস্থিতিটি পর্যালোচনা করার পরেই সেই বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করা উচিত। না হলে পরে সামান্য বিষয়ও বড় ঝামেলার সূত্রপাত ঘটাতে পারে।

বিচারপতি সুনীল শুকরে এবং এমএম সতহায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর একজন কলেজ অধ্যাপক যিনি একটি বিতর্কিত হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দিয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরটি খারিজ করতে অসম্মত হয়। এই বিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশে থাকা সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী নিজের বক্তব্য ও মতামত প্রকাশ করা একটি মৌলিক অধিকার। তবে স্পর্শকাতর বিষয়গুলিতে কোনও মন্তব্য বা মতামত প্রকাশ করার আগে সেগুলি ভালো করে যাচাই করতে হবে। চিন্তা করে নিতে হবে কোনও বিষয়ে মতামত প্রকাশ করার ফলে প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সেই দিকটাও। কারণ একই বিষয় বিভিন্ন ধরনের শ্রেণী বা অবস্থার মানুষদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।