দিল্লি, ২৪ এপ্রিল : গোটা দেশ জুড়ে বইছে করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিশেহারা দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশ। করোনার জেরে প্রায় গোটা দেশ যখন আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে, সেই সময় বর্তমানে পরিস্থিতিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ না বলে সুনামি বলা উচিত বলে মন্তব্য করে দিল্লি হাইকোর্ট।
দিল্লি হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, কেন্দ্র, রাজ্য বা স্থানীয় প্রশাসনের কোনও কর্তা বা অন্য কেউ যদি অক্সিজেন (Oxygen) সরবরহ নিয়ে গাফিলতি করেন, তাহলে তাঁরা শাস্তি পাবেন। এমনকী, অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দিলে তাঁকে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হবে বলেও স্পষ্ট জানানো হয় দিল্লি হাইকোর্টের তরফে।
সম্প্রতি মহারাজা অগ্রসেনা হাসপাতাল (Hospital) দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। কোভিড (COVID 19) রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা যখন আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, সেই সময় অক্সিজেনের ঘাটতির সঙ্গে তাঁদের প্রতি পদে লড়াই করতে হচ্ছে বলেঅভিযোগ করে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানেই দিল্লির (Delhi) কেজরিওয়াল সরকারের তরফে জানানো হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের সব হাসপাতালগুলির অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়বে যদি ৪৮০ মোট্রিকটন অক্সিজেনের যোগান দেওয়া না হয়।
আরও পড়ুন : COVID 19 : জার্মানি থেকে আসছে অক্সিজেন প্ল্য়ান্ট, করোনা থেকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর সরকার
বর্তমানে গোটা দিল্লি জুড়ে ২৯৬ মেট্রিকটন অক্সিজেন মজুদ রয়েছে। যেটুকু মজুদ রয়েছে,তাতে কোনওভাবেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। ৪৮০ মেট্রিকটন অক্সিজেন না পেলে, রাজধানীর গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে বলে জানানো হয়।
এরপরই দিল্লি হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ধরে রাখতে দিল্লিকে প্রতিদিন ৪৮০ মেট্রিকটন অক্সিজেন সরবরহ করা হোক কেন্দ্রের তরফে। প্রতিদিন দিল্লিতে ৪৮০ মেট্রিকটন করে অক্সিজেন যাতে এসে পৌঁছয়, কেন্দ্রকে সেই প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। কেন্দ্র এবার আদালতকে জানাক যে কত সময়ের মধ্যে তারা দিল্লির জন্য ৪৮০ মেট্রিকটন অক্সিজেন সরবরহ করতে পারবে। প্রতিদিন ৪৮০ মেট্রিকটন করে অক্সিজেনের যোগান পেলে তবেই দিল্লি আশার আলো দেখতে পারবে বলেও জানানো হয় আদালতের (Court) তরফে।
প্রসঙ্গত এর আগে কেন্দ্রের তরফে অভিযোগ করা হয়, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সঠিকভাবে নিজেদের কাজ করছে না। রাজ্য নিজেই অক্সিজেন, ওষুধের ব্যবস্থা করার জন্য সচেষ্ট হোক, কেন্দ্র সাহায্য করবে। কিন্তু, রাজ্য নিজের থেকে কোনও ব্যবস্থা না করে, কেন্দ্রের উপর নির্ভর করে বসে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।