প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixabay)

H3N2 Expert Tips: আতঙ্কের আর এক নাম হয়ে উঠেছে H3N2 ভাইরাস। ইতিমধ্যেই কর্ণাটক এবং হরিয়ানায় পরপর দুজনের প্রাণ কেড়েছে এই এইচ৩এন২ ভাইরাস। বিগত ছয় মাসে এই ভাইরাস অপ্রত্যাশিতভাবে রূপ পরিবর্তন করেছে বলেই জানা যাচ্ছে। দেশে এখনও অবধি ৯০ জন H3N2 ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এইচ৩এন২ ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্নতা বাড়ছে চিকিৎসা মহলে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সচিব রাজেশ ভূষণ দেশের ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন রাজ্যের কাছে জরুরি ভিত্তিতে চিঠি পাঠিয়েছেন। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে পরিবর্তিত আবহাওয়ায় শ্বাসনালী সংক্রান্ত রোগ যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা HN1, H3N2 প্রমুখ মারাত্মকভাবে সংক্রামক হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষের অস্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস যেমন মুখ চাপা না দিয়ে হাঁচি তোলা কিংবা কাশি। যার ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ আরও দ্রুত বৃদ্ধি ঘটছে।

H3N2 ভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা এখনও অবধি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও স্বাস্থ্যখাতে গা ফিলতি করলে চলবে না বলেই উল্লেখ করেছেন রাজশ ভূষণ। এইচ৩এন২ ভাইরাসের উপসর্গ গুলো কোভিড ১৯ এর (Covid 19) সমতুল্য। তাই করোনার টিকাকরণে আরও বেশি করে জোর দেওয়ার কথা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশও দিচ্ছেন তিনি। শ্বাসনালী সংক্রান্ত কোনরকম উপসর্গ (কাশি, হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া, শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া, বুকে ব্যথা প্রমুখ) কোন ব্যক্তির মধ্যে থাকতে তাঁর থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। তাঁর কাছে গেলে মুখে মাস্ক পরুন। হাত অবশ্যই স্যানিটাইজ করুণ। জ্বর, সর্দি, কাশির কিছু প্রাথমিক ওষুধ এবং কিছু ডাক্তারি সরঞ্জাম কিংবা অক্সিজেন বাড়িতে মজুত রাখার পরামর্শও দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সচিব।

এক হাসপাতালের চিকিৎসক জানাচ্ছেন, 'আবহাওয়ার পরিবর্তনে ভাইরাল ইনফেকশন হওয়া কোন নতুন বিষয় নয়। কিন্তু কোভিড ১৯ এর কারণে সামান্য ভাইরাল ইনফেকশনও মারাত্মক রূপ নিচ্ছে। কারণ ইনফেকশন রোধের জন্যের উপযুক্ত ইমিউনিটি এখনও গড়ে ওঠেনি বাচ্চা থেকে বয়স্ক কারুর শরীরেই। আর H3N2 ভাইরাস কোন ভয়াবহ রোগ নয়। সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের পরিবর্তিত চেহারা মাত্র। কিন্তু করোনার কারণে আমাদের শরীর এখন নতুন কোন ভাইরাসের জন্যে প্রস্তুত নয়। তাই বাড়ছে ঝুঁকি'।