দিল্লি, ৮ আগস্ট: ৩৭০ ধারার অবসানে কাশ্মীরের ঝুলিতে লাভের ভাগও থাকছে। কেন্দ্র্রের এহেন সিদ্ধান্তের ফলও হবে সুদূরপ্রসারী। কাশ্মীরের স্পেশ্যাল স্টেটাসের অবসানে মুখ খুললেন রাজা হরি সিংয়ের পুত্র কর্ণ সিং। ১৯৪৭ সালে কাশ্মীরকে ভারতে যুক্ত করার জন্য চুক্তি করেছিলেন রাজা হরি সিং। ছেলে কর্ণ সিং আবার কংগ্রেস সাংসদ। কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। কিন্তু কর্ণ সিং দলের দেখানো পথে না হেঁটে জানিয়ে দিলেন, ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি বা জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার কথা আচমকাই ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে সকলে আশ্চর্য হয়েছেন। আরও পড়ুন-‘ঈশ্বর যেন এমন প্রতিবেশী কাউকে না দেন’ , কাকে কী বললেন রাজনাথ সিং?
কাশ্মীরের সঙ্গে তাঁর নাড়ির টান বাবা হরি সিং স্বাধীনতার পর কাশ্মীরের ভারত ভুক্তি চুক্তিতে সই করেছিলেন। তাইতো কাশ্মীর সমস্যার প্রসঙ্গ উঠলেই অস্বস্তিতে পড়ে যান এই অশীতিপর রাজনীতিক। জম্মু-কাশ্মীরের শেষ সদর ই রিয়াসত ও প্রথম রাজ্যপাল ছিলেন কর্ণ সিং। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য পেশ করার তিন দিন পর তিনি প্রথম বিবৃতি দিলেন। তাঁর কথায়, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে কয়েকটি ইতিবাচক পয়েন্ট আছে। লাদাখকে যেভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছে, তা অভিনন্দনযোগ্য। ১৯৬৫ সালে যখন তিনি কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন তখন এমনটাই ভেবেছিলেন বলে দাবিও করেন। তাঁর মতে, রাজনৈতিক ক্ষমতার সুষ্ঠু ভাগাভাগি হওয়া চাই। জম্মু ও কাশ্মীর, উভয় অঞ্চলের কেউ যেন বঞ্চিত না হয়। চেষ্টা করা উচিত যাতে উপযুক্ত পরিস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীরকে ফের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া যায়। তাহলে সেখানকার মানুষ ভারতের অন্যান্য প্রদেশের মানুষের মতোই অধিকার ভোগ করতে পারবেন।
Dr Karan Singh, Congress leader&son of Maharaja Hari Singh, on abrogation of Article 370: Ladakh's emergence as a Union Territory is to be welcomed...Gender discrimination in Article 35A needed to be addressed...My sole concern is to further welfare of all sections®ions of J&K pic.twitter.com/0w3ys484PC
— ANI (@ANI) August 8, 2019
৩৭০ ইস্যুতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও রাজ্যের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে দেশবিরোধী হিসেবে দাগিয়ে দেওয়াকে মেনে নিতে পারেননি কর্ণ সিং। বলেছেন, অবিলম্বে কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে মুক্তি দেওয়া উচিত, তাঁদের গ্রেপ্তারি নিন্দনীয় বিষয়।