Firhad Hakim (Photo Credits: X)

কলকাতা, ১৬ ডিসেম্বর: আগামী দিনে আর সংখ্যালঘু থাকব না, সংখ্যাগুরু হব। সম্প্রতি কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) এমন মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। ফিরহাদের এমন বিতর্কিত মন্তব্যের এবার প্রকাশ্যে নিন্দা করল দল। সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্তব্যে সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হল, ফিরহাদ হাকিমের করা সাম্প্রতিক মন্তব্য দলের আদর্শের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ নয়। শান্তি, একতা ও সাম্প্রতিক সম্প্রীতি নিয়ে আমাদের অবস্থান অটুট থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক চরিত্রকে আঘাত হানা যে কোনও রকমের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"এখানেই উঠছে প্রশ্ন, তৃণমূলের অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে করা এই পোস্টের শেষের দিকে কঠোর ব্যবস্থার যে কথা বলা হয়েছে, তা কিসের ইঙ্গিত?

ফিরহাদ হাকিমের 'সাম্প্রদায়িক'বিতর্কিত মন্তব্যের পরই তাঁর দলেরই অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে কলকাতার মেয়র পদ থেকে সরানোর দাবি তুলেছিলেন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ মমতাও ফিরহাদকে ‘অবাঞ্ছিত’ মন্তব্যের জন্য ধমক দিয়েছেন। এবার কি তাহলে মেয়র পদ যাবে চেতলার ববির? ফিরহাদ নিজেই তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যই নিজে শৃঙ্খলা ভাঙায় দলের নিচু স্তরে ক্ষোভ বাড়ছে।

ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যের নিন্দায় তৃণমূল

বৈশাখী কাণ্ডের পর শোভন চট্টোপাধ্যায় কলকাতার মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর কলকাতার মেয়র হিসেবে অতীন ঘোষ, দেবাশীষ কুমারের সঙ্গে ফিরহাদের নামটা আলোচনা আসতেই মমতা তার প্রিয় ববির নামে সিলমোহর দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করেও কী করে এমন 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' মন্তব্য করে বিজেপির রাজনীতিতে পালে হাওয়া দিলেন ফিরহাদ তা নিয়ে দিদি অবাক বলে অনেকেই দাবি করছেন।

রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর পাশাপাশি শহরের মেয়র থাকা ফিরহাদকে সরিয়ে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে কলকাতা পুরসভার সিংহাসনে বসানো হয় কি না প্রশ্ন উঠছে।