বিপদের তোয়াক্কা না করেই, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দিনের পর দিন ব্যবসা চালাচ্ছিল দিল্লির বিবেক বিহারের সদ্যোজাত শিশু হাসপাতালের (New Born Baby Care Hospital) কর্তৃপক্ষ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ জানতে পারে এই বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স শেষ হয়ে গিয়েছিল গত ৩১ মার্চ। তারপরে টাকা দিয়ে লাইসেন্স রিনিউ করার প্রয়োজন মনে করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে জানা যায়, লাইসেন্সের নিয়ম অনুযায়ী বেবি কেয়ার ইউনিটে একসঙ্গে ৫টি সদ্যোজাতকে রাখার নির্দেশ ছিল। কিন্তু সেখানে ১২টি শিশুর বেড রেখেছিল হাসপাতাল।
পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, গোটা হাসপাতালে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল না। শিশুদের সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রাথমিক পদক্ষেপই নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া হাসপাতালে ছিল না কোনও এমার্জেন্সি এক্সিটের দরজা। অন্যদিকে যে চিকিৎসকদের নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁরা কেউই যোগ্য ছিল। বেশিরভাগ চিকিৎসকই আয়ুর্বেদিক মেডিসিন এবং সার্জারি স্নাতোক ডিগ্রি প্রাপ্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। ফলে দিনের পর দিন শিশুদের ওপর ভুল চিকিৎসা করে যাচ্ছিল চিকিৎসকেরা।
Delhi New Born Baby Care Hospital incident | Delhi police says:
1. The license issued to the Baby Care New Born Child Hospital expired on March 31.
2. The license was allowed for 5 beds only, but at the time of the incident, 12 newborn children were admitted to the Hospital.…
— ANI (@ANI) May 26, 2024
এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতেই হতবাক খোদ তদন্তকারী আধিকারিকরা। গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায় ৬টি সদ্যোজাত শিশুর প্রাণ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে আরও ৬ শিশুর ওপর। গতকালের এই ঘটনায় তৎপরতা সাথে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ বা দমকল আসার আগে তাঁরাই আগুনের লেলিহান শিখার তোয়াক্কা না করে শিশুদের বাঁচাতে এগিয়ে আসে। পরে দমকলে ১৬টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।