নতুন দিল্লি, ১৯ মে: দেশে হুহু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে কর্মক্ষেত্রের জন্য নতুন গাইড লাইন প্রকাশ করল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare)। যদি কোনও কর্মী জ্বর সর্দি কাশির সমস্যায় ভোগেন তাহেল তিনি ওয়ার্ক ফ্রম হোম। নয়া গাইড লাইন বলছে, যদি কোনও অফিসের ১ থেকে ২ জন কর্মী করোনাভাইরাস পজিটিভ হন, তাহলে গোটা অফিসে তালা ঝোলানোর কোনও প্রয়োজন নেই। সর্দি জ্বরে আ্ক্রান্ত কর্মীকে অফিসে আসার দরকার নেই। তিনি শুধু কর্তৃপক্ষকে তাঁর অসুস্থতার খবর জানাবেন। যেসব কর্মী কনটেইনমেন্ট জোনে বসবাস করেন। তাঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে কাজ করার অনুমতি পাবেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইড লাইন অনুসারে, কর্মক্ষেত্রে কোনও কর্মীর শরীরে করোনার উপসর্গ মিললে তাঁকে তৎক্ষণাৎ কাজের জায়গার মধ্যে কোনও ঘরে আইসোলেশনে রাখা হবে। যতক্ষণ না চিকিৎসক এসে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কোনওরকম বিধান দিচ্ছেন, ততক্ষণ ওই কর্মীকে মাস্ক পরিয়ে রাখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে জানাতে হবে। ওই কর্মীর সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককেই ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যাঁরা আক্রান্তর থেকে বেশ কানিকটা দূরত্বে ছিলেন, তাঁদের কোয়ারেন্টাইন যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে আগামী ১৪ দিন নিয়ম করে তাঁদের সুস্থতার দিকে নজর রাখতে হবে। আরও পড়ুন- Bihar: উত্তরপ্রদেশের পর বিহার, বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে যাত্রীবোঝাই ট্রাক উল্টে মৃত ৯ পরিযায়ী শ্রমিক30
কোথাও যদি দু একজনের শরীরে মারণ ভাইরাস মেলে তবে আক্রান্তরা গত ৪৮ ঘণ্টায় চলাফেরা করেছেন এমন জায়গাগুলিকে জীবাণু মুক্ত করতে হবে। জীবাণু মুক্তকরণের প্রক্রিয়া মিটলে অফিস ফের চালু হতে পারে। ২ একজন কর্মী আক্রান্ত হয়েছে বলে সঙ্গে সঙ্গে গোটা অফিস বন্ধ করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি বিরাট সংখ্যাক কর্মী আক্রান্ত হন তাহলে ৪৮ ঘণ্টার জন্য গোটা অফিস বন্ধ করে জীবাণু মুক্ত করণ প্রক্রিয়া চালাতে হবে। তারপর স্বাভাবিক নিয়মে অফিসে কাজকর্ম চলতে পারে।