Arvind Kejriwal, Sunita Kejriwal (Photo Credit: ANI/Twitter)

রাজ্যের সব বেকারদের কর্মসংস্থান থেকে মহিলাদের 'কন্য়াশ্রী', বিনামূল্যে বিদ্য়ুত। হরিয়ানায় ক্ষমতায় আসতে বড় প্রতিশ্রুতি আম আদমি পার্টির। এই প্রথমবার হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটে লড়বে আপ। লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া জোটের অপ্রত্যাশিতভাবে ভাল ফল করে ক্ষমতার কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পেলেও, জেলবন্দি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির ফল মোটেও ভাল হয়নি। টানা তিনটে লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে কোনও আসনে জেতা হল না আপের। পঞ্জাবে ক্ষমতায় থাকলেও এবার লোকসভা ভোটে হতাশ করেছে আপ। আবগারি দুর্নীতি মামলা কেজরিওয়াল এখনও জেলবন্দি।

এর মধ্যে ভোটের ময়দানে নেমে পড়ল আপ। আর ক'মাসের মধ্যেই হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তার আগে হরিয়ানায় ভোটপ্রচারের কাজ শুরু করে দিল আপ। জেলবন্দি কেজরির স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে পঞ্চকুলায় গিয়ে হরিয়ানার আপের ইস্তাহার প্রকাশ করলেন। ইস্তেহারে হরিয়ানাবাসীর জন্য মোট পাঁচটি গ্যারান্টি দিল আপ। দিল্লি, পঞ্জাবের পর হরিয়ানা ক্ষমতায় আসতে বিনামূল্য ২৪ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত পরিষেবা, বিনা খরচে স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিনা খরচে শিক্ষা, মা-বোনেদের জন্য মাসিক হাজার টাকার ভাতা এবং রাজ্যের সব বেকারদের কর্মস্থান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করল কেজরিওয়ালের দল। এদিন পঞ্চকুলায় আপের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে সুনীল কেজরিওয়ালের পাশাপাশি ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং সহ দলের অন্য়ান্য শীর্ষ নেতারা।

২০১৯ হরিয়ানা বিধানসভায় ৯০টি আসনের মধ্যে ৪০টি-তে জিতেছিল বিজেপি, কংগ্রেস পায় ৩১টি ও জেজেপি জেতে ১০টি আসনে। জেজেপি-র সমর্থনে সরকার গড়েছিল বিজেপি। লোকসভা ভোটের মুখে মনোহর লাল খট্টার-কে সরিয়ে নবাব সাইনিকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি। এরপর বিজেপি সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন পাঁচ বছর রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী থাকা দুষন্ত চৌতালা। এর ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারায় বিজেপি। কিন্তু নির্বাচন একেবারে কাছে চলে আসায় আর সরকার গড়ার চেষ্টা করেনি বিরোধীরা।

দেখুন ভিডিয়ো

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে হরিয়ানায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়েছিল আপ। রাজ্যের ১০টি লোকসভা আসনের মধ্যে একটিতে প্রার্থী দিয়েছিল কেজরির দল, বাকি ৯টি-তে ছিল কংগ্রেসের প্রার্থী। কুরুক্ষেত্র লোকসভায় আপ প্রার্থী সুশীল গুপ্তা দারুণ লড়লেও শেষ অবধি মাত্র ২৯ হাজার ভোটের ব্যধানে জিতে যান বিজেপির নবীন জিন্দাল। তবে হরিয়ানা দারুণ ফল করে কংগ্রেস। এবার সব হিসেব মেনে চললে হরিয়ানায় ক্ষমতায় আসতে পারে কংগ্রেস। অন্তত নির্বাচনী সমীক্ষার ফল তেমনই বলছে। খুব সম্ভবত হরিয়ানা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়বে না আপ। রাহুল গান্ধী, কেজরিওয়াল আগেই জানিয়েছিলেন লোকসভা ভোটে জোট হলেও বিধানসভায় তারা আলাদা আলাদা লড়তে পারেন। লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও পঞ্জাবে মুখোমুখি লড়েছিল কংগ্রেস-আপ, বাংলায় লড়েছিল তৃণমূল-কংগ্রেস, কেরলে লড়াই হয়েছিল সিপিএম-কংগ্রেসের।