নতুন দিল্লি, ৩০ জুন: করোনা মোকাবিলায় প্লাজমা থেরাপি (Plasma Therapy) আদৌ কার্যকর কি না তা এখনও পরীক্ষা সাপেক্ষ। মঙ্গলবার একথাই জানালো আইসিএমআর। এই মুহূর্তের স্যাম্পল সাইজ ৪৫২। আর প্লাজমা থেরাপির গবেষণা এখনও চলছে। ৩০ রোগীর অন্তর্বর্তীকালীন থেরাপির অ্যানালিসিস চলছে। ফলাফ আসতে এখনও দেরি আছে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে গবেষণার কাজ সম্পন্ন হলেই এর ফলাফল ঘোষণা হবে। এর আগেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে ভারতে প্রথম প্রস্তুত কোভ্যাকসিনের মানব শরীরের পরীক্ষা মূলক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে আইসিএমআর। ভারত বায়োটেক এই ভ্যাকসিন তৈরিতে আইসিএমআর ও পুনের ভাইরোলজি ল্যাবের মিলিত সহযোগিতা পেয়েছে।
এছাড়াও সোমবার পর্যন্ত মোট ৮৬ লক্ষ ৮ হাজার ৬৫৪টি লালরসের নমুনা পরীক্ষা করেছে আইসিএমআর। এরমধ্যে শুধু ২ লক্ষ ১০ হাজার ২৯২টি নমুনার টেস্ট হয়েছে সোমবার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৪০ জন। এই মুহূর্তে সংক্রামিত ২ লক্ষ ১৫ হাজার ১২৫ জন। সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮২২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৯৩। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত (coronavirus cases) হলেন ১৮ হাজার ৫২২ জন। সোমবার সারাদিনে ৪১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও পড়ুন-First COVID-19 Vaccine In India: কোভ্যাকসিন__করোনাভাইরাস রুখতে প্রথম ভ্যাকসিন তৈরিতে সফল ভারত, জুলাইতেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ
The ICMR study on plasma therapy (PLACID Trial) is still ongoing. Sample size is 452. An interim analysis of 300 patients has not been conducted. The results will be shared on completion of the study from a scientific perspective.
— ICMR (@ICMRDELHI) June 30, 2020
এদিকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতায় এই প্রথম জায়গা করে নিল ভারতও। হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের দাবি, তারা ইতিমধ্যেই করোনা প্রতিরোধে কোভ্যাকসিন (‘covaxin’) তৈরি করে ফেলেছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি এবং আইসিএমআর-এর যৌথ উদ্যোগেই এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। পুনের ভাইরোলজির দপ্তরে অত্যন্ত সতর্কতায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল SARS-CoV-2 এর ভাইরাসকে। সেই ভাইরাসই পুনে থেকে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন তৈরির কারখানায় স্থানান্তর করা হয়। হায়দরাবাদের জেনোম ভ্যালিতে অবস্থিত এই ভারত বায়োটেকের কারখানায় রয়েছে সম্পূর্ণ কনটেইনমেন্ট ফেসিলিটি। সেখানেই তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিন যেকানে তিন স্তরের বায়ো সেফটি বলয় বিদ্যমান।