হায়দরাবাদ, ৩০ জুন: করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতায় এই প্রথম জায়গা করে নিল ভারতও। হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের দাবি, তারা ইতিমধ্যেই করোনা প্রতিরোধে কোভ্যাকসিন (‘covaxin’) তৈরি করে ফেলেছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি এবং আইসিএমআর-এর যৌথ উদ্যোগেই এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মানব শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে সংস্থাটি। এদিকে আগেই প্রিক্লিনিক্যাল স্টাডিজে কোভ্যাকসিন নিরাপত্তা ও রোগপ্রতিরোধ সংক্রান্ত পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছে। জুলাইতেই শুরু হচ্ছে মানব শরীরে কোভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ।
পুনের ভাইরোলজির দপ্তরে অত্যন্ত সতর্কতায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল SARS-CoV-2 এর ভাইরাসকে। সেই ভাইরাসই পুনে থেকে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন তৈরির কারখানায় স্থানান্তর করা হয়। হায়দরাবাদের জেনোম ভ্যালিতে অবস্থিত এই ভারত বায়োটেকের কারখানায় রয়েছে সম্পূর্ণ কনটেইনমেন্ট ফেসিলিটি। সেখানেই তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিন যেখানে তিন স্তরের বায়ো সেফটি বলয় বিদ্যমান। এই ভাইরাস তৈরি প্রসঙ্গে সংস্থার চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডক্টর কৃষ্ণা এল্লা বলেছেন, অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে কোভিড-১৯ প্রতিরোধকারী ভারতের প্রথম নিজস্ব ভ্যাকসিন কোভ্যাকসিন তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। এই ভ্যাকসিন তৈরিতে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে আইসিএমআর ও পুনের ভাইরোলজি ল্যাব। সিডিএসসিও-র সমর্থন ও গাইডলাইনে প্রজেক্টটির অনুমোদনও মিলেছে। এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতি আমাদের গোটা টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিরামহীন কাজ করেছে। সরকারি প্রোটোকল মেনে প্রি- ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও সম্পন্ন হয়েছে। ফলাফল সন্তোষজনক, সেখানে রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি রোগীর নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত হয়েছে।আরও পড়ুন-COVID-19 Cases In India: এক দিনে আক্রান্ত ১৮ হাজার ৫২২ জন, ভারতে কোভিড রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ছাড়ালো
ভবিষ্যতে মহামারী প্রতিরোধে ভারত বায়োটেক জাতীয় গুরুত্বকে মাথায় রেখেই এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। ভ্যাকসিন তৈরিতে ভারত বায়োটেকের ট্র্যাক রেকর্ড দারুণ। জিকা ভাইরাসের ভ্যাকসিন, পোলিও-র ভ্যাকসিন, চিকুনগুনিয়ার ভ্যাকসিন, জাপানি এনসেফেলাইটিসের ভ্যাকসিন, রোটা ভাইরাসের ভ্যাকসিন, ব়্যাবিজের ভ্যাকসিন তৈরিতে সাফল্য অর্জন করেছে এই ভারত বায়োটেক।