সতীশ গুজরাল (Photo Credits: Twitter/@IndianDiplomacy)

নতুন দিল্লি, ২৭ মার্চ: প্রয়াত পদ্মবিভূষণ প্রাপ্ত চিত্রকর সতীশ গুজরাল (Satish Gujral)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি একাধারে ছিলেন ম্যুরালিস্ট, চিত্রকর, ভাস্কর ও লেখক। সতীশ গুজরালের দাদা ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দর কুমার গুজরাল। ভাস্কর সতীশ গুজরাল নিজের হাতে সাজিয়েছিলেন দিল্লির বেলজিয়ান দূতাবাস ও গোয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এই মহান শিল্পী রেখে গেলেন স্ত্রী কিরণ, ছেলে মোহিত ও বউমা এবং নাতি নাতনিদের।

১৯২৫ সালে পাকিস্তানের ঝিলামে জন্ম গ্রহণ করেন সতীশ গুজরাল। দেশভাগের যন্ত্রণার অন্যতম সাক্ষী তিনি। নিজের শিল্পকলাতেই ফুটিয়ে তুলেছেন সেই যন্ত্রণাকে। মানুষের উপরে মানুষের নিষ্ঠুরতাকে ক্যানভাসে সাজিয়েছেন সতীশ গুজরাল। তাঁর অনন্য চিত্রায়নের মধ্যে অন্যতম হল মর্নিং ইন মাস, এক্সপ্রেস অ্যাঙ্গুইশ, ডেজ অফ গ্লোরি। আরও পড়ুন-Mumbai Man Kills Brother: লকডাউন না মেনে বাইরে ঘোরাঘুরি, অবাধ্য ভাইকে সহবত শেখাতে গিয়ে খুন দাদার

লাহোরের মায়ো আর্ট স্কুলেই প্রথম চিত্রাঙ্কনের পাঠ নেন সতীশ গুজরাল। পরে মুম্বইয়ের জেজে স্কুল অফ আর্টে পড়াশোনা করেন। ১৯৫২ সালে স্কলারশিপ পেয়ে পড়তে চলে যান মেক্সিকোর পালাসিও দে বেলাজ আর্টস-এ। সেখানে তিনি প্রখ্যাত চিত্রকর ডেভিড আলফারো সিকিরোজ ও দিয়েগো রিভেরা-র অধীনে শিক্ষাণবিশ ছিলেন। কবি, ফৈয়জ আহমে ভৈয়জ, গালিব, ইকবালের লেখনি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে সতীশ গুজরালের চিত্রকল্প। নয় বছর বয়সে প্রথম রং তুলি হাতে নিয়েছিলেন। সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে এক দুর্ঘটনার মুখে পড়েন সতীশ গুজরাল। এই দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি আর কানে শুনতে পেতেন না।