চণ্ডীগড়, ১৭ জানুয়ারি: কেরালার পর পাঞ্জাব, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরোধিতায় এগিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং (Captain Amarinder Singh)। পাঞ্জাব বিধানসভার অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেই কেন্দ্রকে সিএএ প্রত্যাহারের আবেদন করলেন তিনি। নির্লজ্জ বিভাজক সিএএ পাঞ্জাবে বলবৎ হবে না, সম্প্রতি একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অমরিন্দর সিং উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর স্পষ্টতই অসাংবিধানিক এবং বিভাজক। একে কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না। ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি দুদিনের বিশেষ অধিবেশন ছিল পাঞ্জাব বিধানসভায়। সেখানেই সেখানেই ঠিক হয় সরকার যেন হাউসের ইচ্ছের মর্যাদা দেয়।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ২০১৯-এর একেবারে শেষ লগ্নে এসে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) করে ফেলল। প্রথম দিন থেকেই এই আইনের বিরোধিতা করে আসছিল কেরালার পিনারাই বিজয়নের সরকার (Kerala government)। পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ কার্যকরী হবে না তা জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ নিয়ে বিতর্কের প্রয়োজন রয়েছে জানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির শরিক দল জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। এবার প্রথম রাজ্য হিসেবে সিএএ-র বৈধতা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল কেরালা। এই আইনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ৬০টিরও বেশি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)।তার সঙ্গে যুক্ত হল কেরল সরকারের আবেদন। কেরল সরকার তার পিটিশনে জানিয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংবিধানের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করেছে। তাতে সাম্যের অধিকার মানা হয়নি। ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আরও পড়ুন-Nirbhaya Convict Vinay Sharma: ফাঁসি রদে নয়া পন্থা, জেলের শৌচালয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা নির্ভয়ার ধর্ষক-খুনি বিনয় শর্মার
গত বছর ডিসেম্বরের একেবারে শেষে এসে বিজেপি সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদের দুই কক্ষে পাস করিয়ে নেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সইয়ের বদান্যতায় তা আইনে পরিণত হয়। সেই সময় থেকেই সিএএ বিরোধিতায় উত্তাল গোটা দেশ। অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, কেরালা, তামিলনাড়ু. কর্ণাটক, দিল্লি, মুম্বইতে একের পর এক বিক্ষোভ। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও জেএনইউ-র ঘটনায় সেই আন্দোলন ভয়াবহ মাত্রা পেয়েছে উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভকারীদের উপরে হামলার ঘটনায় নিন্দার মুখে যোগীর রাজ্যের পুলিশ। সবেমাত্র জেল তেকে মুক্তি পেয়েছেন ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। এরমধ্যে ১০ জানুয়ারি থেকে সিএএ কার্যকরী হয়েছে দেশে। ইতিমধ্যেই স্বাগত জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। তবে কেরালা সিএএ-র বিরোধিতার প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। এবার পাঞ্জাবও সেই পথে হাঁটল।