নতুন দিল্লি, ১৭ জানুয়ারি: ২২ জানুয়ারি সম্ভাব্য ফাঁসি রদের জন্য চেষ্টার ত্রুটি করছে না নির্ভয়ার ধর্ষক-খুনিরা। কখনও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি কখনও বা ফাঁসির রায়কে চ্যালেঞ্জ। শুক্রবার সকালে তো গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টাও বাদ দিল না। তিহাড় জেলে রাখা হয়েছে চার ধর্ষক-খুনিকে। সেখানেই বিনয় শর্মা (Vinay Sharma) চার নম্বর সেলে একা ছিল। সেলের শৌচালয়েই সে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। তবে মৃত্যুর জন্য নয়, ফাঁসি আটকানোই যছিল বিনয়ের লক্ষ্য এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে বিনয় শর্মার আইনজীবী যখন তাঁর মক্কেলের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ফলাও করে জানাতে ব্যস্ত, তখন তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে, ২০১৬ সালে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বিনয়। জেলের লোহার গ্রিলের সঙ্গে কাপড় বেঁধে ঝুলে পড়ার চেষ্টা করেছিল। তাকে সে বার হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়। পরে সুস্থ হয়ে ওঠে সে। বলাবাহুল্য, ফাঁসির আগে অনেকগুলি বিষয়েই নজর দেওয়া হয়। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল সাজাপ্রাপ্তের স্বাস্থ্যের অবস্থা। তার শরীর অসুস্থ অবস্থায় ফাঁসি দেওয়া যায় না। সেই কারণেই হয়তো বিনয় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল, যাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করার বিষয়টি নথিভুক্ত হয়, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন-Piyush Goyal: ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়ো করে অ্যামাজন ভারতের কোনও উপকার করছে না, বললেন পীযুষ গয়াল
বর্তমানে ২৪ ঘণ্টা CCTV-র নজরদারিতে রয়েছে নির্ভয়ার চার ধর্ষক-খুনি। সূত্রের মারফৎ জানা গিয়েছে, চার নম্বর সেলে একটি সিঙ্গল রুমে ছিল বিনয় শর্মা। সেলের মধ্যে একটি পর্দা দিয়ে শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা আছে। সেখানে লোহার একটা টুকরো ছিল। বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সেই লোহায় একটি দড়ি বেঁধে ফাঁস তৈরি করার চেষ্টা করে বিনয়। তবে ফাঁসটি যে ভাবে তৈরি করা হয়েছিল, তার উচ্চতা বেশি হওয়ায় সেই ফাঁসে ঝুলে পড়তে পারেনি বিনয়। ঠিক সেই সময়ই কর্তব্যরত পুলিশের নজরে আসে বিষয়টি।