Coronavirus Shield Ready For Pre-Clinical Tests: পুনের পরীক্ষাগারে তৈরি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন, এখন শুধু ট্রায়ালের অপেক্ষা
চিন (Photo Credits: Twitter)

পুনে, ১৮ ফেব্রুয়ারি: করোনা ভাইরাসের দাপটে ম্রিয়মান চিন। চিকিৎসকরা পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুপথ যাত্রী। এখনও চিনের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এর ভ্যাকসিন আবিস্কার করতে পারেনি। তবে চিন পারলেও সেই কাজে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেল ভারত, সৌজন্য মার্কিন বায়োটেকনোলজি ফার্ম। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) (Serum Institute of India) মার্কিন বায়োটেকনোলজি ফার্ম কোডাজেনিক্সের সঙ্গে কোলাবরেশনে তৈরি করে ফেলেছে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন। একেবারে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য তৈরি। একবার তা হয়ে গেলে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করে চলবে পরীক্ষা। সবমিলিয়ে এখনও মাস ছয়েকের ধাক্কা। তারপরেই করোনা ভাইরাসকে কাবু করতে বাজারে চলে আসবে ভ্যাকসিন। এই সুখবর জানিয়েছেন এসআইআই-এর সিইও আদর পুনাওয়ালা।

জানা গিয়েছে, এত তাড়াতাড়ি এই প্রথম ভারতে কোনও সংক্রামক রোগের ভ্যাকসিন প্রথম তৈরি হল। এরপর হিউম্যান ট্রায়াল ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ছাড়পত্র পেতে আরও অন্তত এক বছর লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২২-এর শুরুতেই এই ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে বলে আশা করছেন তিনি। ২৫০-৩০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে আরও আন্তর্জাতিক সহযোগী দেশকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা করছেন পুনাওয়ালা। পরীক্ষাগারে করোনার মোকাবিলায় সিন্থেটিক ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে। তবে চিরাচরিত ভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। চিরাচরিত প্রক্রিয়ায় তৈরি ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে সম্পূর্ণ ভাবে কর্মক্ষম হতে সাত-আট বছর লাগে। এক্ষেত্রে তা লাগবে না। মার্কিন সহযোগীর সাহায্যে ক্যান্ডিডেট ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে, যা অনেক তাড়াতাড়ি মানুষের শরীরে ঢাল হিসেবে কাজ শুরু করতে পারবে। আরও পড়ুন-Coronavirus: করোনার দাপটে প্যারাসিটামলে ছ্যাঁকা, একলাফে বাড়ল ৪০ শতাংশ দাম

এদিকে করোনার থাবায় চিন থেকে প্যারাসিটামলের আমদানি একপ্রকার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চিন সংক্রমণ আটকাতে সীমান্ত সিল করে দেওয়ায় আমদানি রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ। এমতাবস্থায় যদি এখনই আমদানি শুরু না হয় তাহলে এপ্রিল মাস থেকে প্যারাসিটামলের আকাল দেখা দেবে। সেকারণেই এদিন প্যারাসিটামলের দাম একলাফে ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। বিশ্ববাজের চিনে তৈরি ওষুধ যায় সবথেকে বেশি, সেথাকে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে যে সমস্যা গুরুতর আকার নেবে তানিয়ে সন্দেহাতীত চিকিৎসক মহল।