নতুন দিল্লি, ১৮ ফেব্রুয়ারি: নভেল করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) জেরে গোটা বিশ্ব এখন থরহরি কম্প। চিনের অবস্থা তো ভয়াবহ। চিন লাগোয়া প্রতিটি দেশই ভাইরাস সংক্রমণ বন্ধ করতে সীমান্তে কড়া নজরদারি শুরু করেছে। বিমানবন্দর গুলিতে স্ক্রিনিং চলছে যাত্রীদের। ইতিমধ্যেই সংক্রমণের জেরে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। চিনের বিভিন্ন দ্রব্যের বাজার রয়েছে ভারতে। এককথায় ভারতে চিনাদ্রব্যের বিকিকিনি বেশ বেশি। এই করোনার দাপটে সেখানে বড়সড় ধাক্কা লেগেছে। চিনাবাজারে তালা পড়ায় অনেক ব্যবসাই ক্ষতির মুখ দেখতে শুরু করেছে। এবার সেই জায়গায় যোগ হল প্যারাসিটামলের মতো জীবনদায়ী ওষুধ। করোনার দাপটে সীমান্ত সিল করেছে চিন। সেখান থেকে আর ওষুধ আসছে না ভারতে।
যারফলে ভারতের ওষুধের বাজারে প্যারাসিটামলের ঘাটতির সম্ভাবনাও বাড়ল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাতরাতি দেশের বাজারে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেল প্যারাসিটামলের দাম। চিনে করোনাভাইরাস ভয়ানক আকার নেওয়ায়, সেখানে এখন এই মেডিসিনের উত্পাদন বন্ধ। ফলে, চিন থেকে প্যারাসিটামলের আমদানিও আপাতত বন্ধ। এমতাবস্থায় চাহিদার সঙ্গে জোগানের ঘাটতিতে প্যারাসিটামলের দাম একলাফে ৪০ শতাংশ বেড়েছে। ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্যারাসিটামল সাধারণত বেদনানাশক হিসেবে ব্যবহার হয়। শুধু প্যারাসিটামল নয়, অ্যাজিথ্রোমাইসিনের দাম আবার ৭০ শতাংশ বেড়েছে। বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়াঘটিত সংক্রমণের চিকিত্সায় অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে অ্যাজিথ্রোমাইসিন প্রেসক্রাইব করেন ডাক্তাররা। জোগানে ঘাটতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ফার্মা ইন্ডাস্ট্রি জাইডাস ক্যাডিলার চেয়ারম্যান পঙ্কজ আর পটেল। মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে, কিছু ওষুধের চরম ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এপ্রিলের পর অনেক ওষুধই বাজারে পাওয়া যাবে না। আরও পড়ুন-Jammu & Kashmir Delimitation Commission: মার্চে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগেই জম্মু কাশ্মীরে তৈরি হল তিন সদস্যের সীমান্ত কমিশন
মার্কিন বাজারে জেনেরিক ওষুধের বৃহত্তর জোগানদাতাদের মধ্যে অন্যতম ভারত। বাজারের ১২ শতাংশ ভারতের দখলে। সেখানে চিনের দখলে বৃহত্তম (৮০ শতাংশ) বাজার। নভেল করোনাভাইরাসে চিনে এ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যুর জেরে সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। ফলে, চিন থেকে ওষুধের আমদানি নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।