শ্রীনগর, ১৮ ফেব্রুয়ারি: সোমবার নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রকে (Election Commissioner Sushil Chandra) জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্ত কমিশনের সদস্য মনোনীত করা হয়েছে। তিন সদস্যের এই প্যানেলটি তৈরিই হয়েছে নবগঠিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মুও কাশ্মীর বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। তথ্য বলছে, এই তিন সদস্যের প্যানেলের নেতৃত্বে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। আর তৃতীয় সদস্য নির্বাচন করা হবে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের ভিতর থেকেই। গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার খর্ব করার পাশাপাশি কেন্দ্র সেখান থেকে ৩৫-এর এ ও ৩৭০ ধারা বিলোপ করে। এক একদিন পরেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্গঠন আইন পাস হয়ে যায়।
এই জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনটির যা বিধিনিয়ম রয়েছে তাতে উপত্যকার বিধাসভা আসন কলেবরে বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ আগে যেখানে ১০৭টি বিধানসভা ছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। এখন তা বেড়ে ১১৪টি হবে। বলা বাহুল্য, ২০১৮-র নভেম্বরেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এই প্যানেল তৈরির আলোচনা যখন চলছে তখনই ঠিক হয়েছিল যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা আসনের সংখ্যা বাড়বে। সেই সময়ই বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডা বলেছিলেন, উপত্যাকায় ভোটতখনই সম্ভবপর হবে যখন বিধানসভা আসনের সংখ্যা বাড়বে। তাই হিসেব যা বলছে আগামী মার্চ মাসে কেন্দ্র শাসিত অঋ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের ১৩ হাজার পঞ্চায়েত এলাকায় নির্বাচন হবে। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথম নির্বাচনের আয়োজন হচ্ছে উপত্যকায়। যদিও গত অক্টোবরে উপত্যকার ব্লক ডেভলেপমেন্টের নির্বাচন হয়। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের থেকে তার কলেবর অনেক ছোট। আরও পড়ুন-MEERUT: পরিবারের অমতে প্রেম, যৌনাঙ্গে গুলি করে তরুণীকে খুন করল দাদা
উল্লেখ্য, ২০১৯-এর ৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদি সরকারে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা খর্ব করার পাশাপাশি ৩৭০ ও ৩৫-এর এ ধারার বিলোপ করে। এর পরেপরেই জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন পাস হয়ে যায়। রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত হয় ভূস্বর্গ। এই পরিস্থিতিতে উপত্যকার হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা যাতে কোনওরকম বাধার সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য তাঁদের প্রথমে গৃহবন্দিও পরে সতর্কতা মূলক গ্রেপ্তার করা হয়। এই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা প্রমুখ।