MEERUT: পরিবারের অমতে প্রেম, যৌনাঙ্গে গুলি করে তরুণীকে খুন করল দাদা
খুনের প্রতীকী ছবি (Photo Credits: IANS)

মেরঠ, ১৭ ফেব্রুয়ারি: মেয়ের প্রেমের খবরে পরিবারে শান্তি ছিল না। মেয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করলে সম্মান যাবে। তাই প্রায় প্রতিদিনই বাবা-মায়ের সঙ্গে কিশোরী মেয়ের অশান্তি লেগেই থাকত। এবার পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে সেই কিশোরীকে নৃশংসভাবে খুন করল খুড়তুতো দাদা। মেয়েটি যখন বাবা-মাকে স্পষ্ট করে তার সম্পর্কের কথা জানাল, তখনই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ওই দাদা। সে তৈরি হয়েই এসেছিল। একেবারে কাছ থেকে ওই তরুণীর যৌনাঙ্গ লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরপর তিনটি গুলি। একটি কোমরে, একটি থাইতে আর একটি গিয়ে লাগে যৌনাঙ্গে। ঘটনাস্থলেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। প্রথমে এই খুনের খবর প্রকাশ্যে আসেনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়েকে হাসপাতালেনিয়ে গেলে জানাজানি হয়ে যায়। শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠের (Meerut) সারধানা এলাকায়।

রাতে তরুণীর মৃত্যু হলেও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সকালে। ততক্ষণে শরীর থেকে প্রায় সব রক্তই বেরিয়ে গিয়েছে। একেবারে রক্তশূন্য অবস্থা। কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করলে, পরিবারের লোকজন ভুল তথ্য দেয়। ততক্ষণে হাসপাতালে পৌঁছেছে পুলিশ। তাদের জানানো হয়, ডাকাতের গুলিতেই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে জেরাপর্ব শুরু হতেই বোঝা যায় মৃতার বাবা-মায়ের বক্তব্যে অসঙ্গতি রয়েছে। পরে ম্যারাথন জেরায় ভেঙে পড়ে দুজনই। জানায়, খুড়তুতো দাদা প্রাশন্ত চৌধুরির গুলিতেই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই পুলিশকে ভুল পথে চালিত করার দায়ে মৃতার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আরও পড়ুন-Nirbhaya Case: আশাদেবীর আশা পূরণ, আগামী ৩ মার্চ তিহাড় জেলেই ফাঁসি কাঠে ঝুলবে নির্ভয়ার ধর্ষকরা

পুলিশ সুপার অবিনাশ পাণ্ডে জানিয়েছেন, 'ঘটনাস্থলে প্রচুর রক্তের দাগ ছিল। কোনও একজন সেই দাগ মোছার চেষ্টা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে ভাঙা একটি চুড়ি যা থেকে বোঝা যায় অপরাধীকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল মৃতা। দেহটি পুরো ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছিল, যার থেকে বোঝায় যায় পুলিশে খবর দেওয়ার অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা আগে খুন করা হয়েছে।' তার উপর পরিবারের লোকেদের অসংলগ্ন বয়ানে পুলিশের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। দেহটি ময়নাতদন্তে নিয়ে যেতে বাধা দিলে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত ও শাকরেদ এখনও পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।