নির্ভয়াকাণ্ডে ৪ সাজাপ্রাপ্ত (Photo Credits: File Image)

নতুন দিল্লি, ১৭ ফেব্রুয়ারি: অবশেষে আশাদেবী আশা পূরণ হতে চলেচে। আগামী ৩ মার্চ মঙ্গলবার নির্ভয়ার চার ধর্ষক খুনির ফাঁসি (New Death Warrant) হবে। ওই দিন সকাল ছটায় তিহাড় জেলেই (Tihar Jail) ফাঁসিকাঠে ঝুলবে চার ধর্ষক। সোমবার সমস্ত জল্পনা কল্পনায় জল ঢেলে রায় জানিয়ে দিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। নির্ভয়া ধর্ষণ ও খুনের মামালায় মোট আসামীর সংখ্যা ৬। যারমধ্যে ৫জন প্রাপ্ত বয়স্ক। আর এই প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে একজন জেলেই আত্মঘাতী হয়েছে, যার নাম রাম সিং। তিহাড় জেলে সেই ঘটনা ঘটেছিল, এই মামলার শুনানি চালকালীন। আজ ফের মেয়ের খুনিদের ফাঁসির খবর শুনলেন আশাদেবী। তবে তিনি ততটাও খুশি হতে পারেননি।

এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে আশাদেবী বলেন, “এই নিয়ে তিনবার ফাঁসির সাজা শুনল নির্ভয়ার চার ধর্ষক খুনি। আগের দুবার নির্ধারিত দিনের আগেই ফাঁসির সাজা স্থগিত রেখেছে আদালত। নিদারুণ সংগ্রামের পর আজ অন্তত এটা ভেবে স্বস্তি পাচ্ছি যে আদালত ফাঁসির সাজা বহাল রেখেছে। আমি আশাকরি আমার মেয়ের চার ধর্ষক খুনি ৩ মার্চ ফাঁসি কাঠে ঝুলবে।” এদিন সকালেই এই ফাঁসিকে কেন্দ্র করে দড়ি টানাটানির পর্ব নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছিলেন নির্ভয়ার মা। নির্ভয়ার খুনিরা বার বার ফাঁসির দড়ি থেকে ফসকে যাচ্ছে। ডিসেম্বর থেকে দেশের বিচার ব্যবস্থার এই নয়া খেল দেখছেন আশাদেবী। মেয়ের নারকীয় যন্ত্রণা পেয়ে মৃত্যু তিনি মেনে নিতে পারেননি। ২০১২ থেকে বুকে পাথর চাপা রয়েছে। ভেবেছিলেন, সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। কিন্তু দিনের পর দিন সুকোশৈলে ধর্ষকদের ফাঁসির সাজা রদ করে চলেছে আইনজীবীরা। যখনই তিনি আশায় বুক বেঁধে ভাবেন, এবার ফাঁসি হবে। তখন নিত্যনতুন খেল রচনা করে তা ভেস্তে দেয় আইনজীবীরা। তবুও আশায় বাঁচেন আশাদেবী। আরও পড়ুন-Nirbhaya Rape and Murder Case: সোমবারের শুনানিতে মেয়ের ধর্ষক খুনিদের ফাঁসির সাজা হবে, আশায় বুক বাঁধছেন নির্ভয়ার মা

এদিন দিল্লি কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সেই আশা পূরণ হওয়ার পথে একরকম অগ্রসর হয়েই পড়েছে। গত বছর থেকেই নির্ভয়া ধর্ষক খুনিদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা ও রদের পর্ব অব্যাহত। মক্কেলের ফাঁসি আটকাতে আসামীদের আইনজীবীরা কোনও রকম পন্থা অবলম্বনেই পিছপা হচ্ছে না। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট থেকে তিস হাজারি কোর্ট, কখনও বা দিল্লি হাইকোর্ট। এবং অবশ্যই সুপ্রিম কোর্ট। কোথায় বয়স কম জানিয়ে ফাঁসির সাজা মকুবের আর্জি। কোথাও বা প্রাণভিক্ষার আর্জি। রাষ্ট্রপতি সেই আর্জি বাতিল করলে সোজা সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ। সেসব টপকে একেবারে ফাঁসির দিন ঘোষণা। এবার হয়তো আশাদেবীর মেয়েটার আত্ম শান্তি পাবে।