আশাদেবী(Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ১৭ ফেব্রুয়ারি: গত বছর থেকেই নির্ভয়া ধর্ষক খুনিদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা ও রদের পর্ব অব্যাহত। মক্কেলের ফাঁসি আটকাতে আসামীদের আইনজীবীরা কোনও রকম পন্থা অবলম্বনেই পিছপা হচ্ছে না। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট থেকে তিস হাজারি কোর্ট, কখনও বা দিল্লি হাইকোর্ট। এবং অবশ্যই সুপ্রিম কোর্ট। কোথায় বয়স কম জানিয়ে ফাঁসির সাজা মকুবের আর্জি। কোথাও বা প্রাণভিক্ষার আর্জি। রাষ্ট্রপতি সেই আর্জি বাতিল করলে সোজা সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ। এভাবেই ২২ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি। একের পর এক ফাঁসির দিন স্থগিত হয়ে চলেছে। সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি ফের দিল্লি হাইকোর্টে নির্ভয়া কাণ্ডের শুনানি (Nirbhaya Rape and Murder Case)। আজ ধর্ষক খুনিদের ফাঁসির সাজা নিয়ে কী রায় দেয় কোর্ট সেদিকেই তাকিয়ে আশাদেবী।

নির্ভয়ার খুনিরা বার বার ফাঁসির দড়ি থেকে ফসকে যাচ্ছে। ডিসেম্বর থেকে দেশের বিচার ব্যবস্থার এই নয়া খেল দেখছেন আশাদেবী। মেয়ের নারকীয় যন্ত্রণা পেয়ে মৃত্যু তিনি মেনে নিতে পারেননি। ২০১২ থেকে বুকে পাথর চাপা রয়েছে। ভেবেছিলেন, সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। কিন্তু দিনের পর দিন সুকোশৈলে ধর্ষকদের ফাঁসির সাজা রদ করে চলেছে আইনজীবীরা। যখনই তিনি আশায় বুক বেঁধে ভাবেন, এবার ফাঁসি হবে। তখন নিত্যনতুন খেল রচনা করে তা ভেস্তে দেয় আইনজীবীরা। তবুও আশায় বাঁচেন আশাদেবী। আজকেও তিনি অনেক আশা নিয়েই আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে আছেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ধর্ষক বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি। বিচারপতি  ধর্মেন্দ্র রানার এজলাসে নির্ভয়া মামলার শুনানি। আজকের রায়ের উপরেই চার ধর্ষক খুনির ফাঁসির দিন নির্ভর করছে। আরও পড়ুন- West Bengal Weather Update: এবার শীত বিদায়ের পালা, বেলা বাড়লেই চড়ছে পারদ

গত ৩১ জানুয়ারি এই মামলার চার ধর্ষক খুনি মুকেশ কুমার সিং (৩২), বিনয় কুমার শর্মা(২৬), পবন গুপ্তা (২৫), অক্ষয় কুমার (৩১)-র ফাঁসির সাজায় স্থগিতাদেশ দেয় সেশন কোর্ট। চারজনই এখন তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছে।