জম্মু ও কাশ্মীর, ২২ আগস্ট: এক সপ্তাহ হয়ে গেল কাশ্মীরের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় আগেই চালু হয়ে গিয়েছিল। গতকাল বুধবার থেকে উপত্যকার হাইস্কুলগুলিও চালু হয়েছে। চালু হলে কী হবে, পড়ুয়ার উপস্থিতি একেবারেই চোখে পড়ছে না। শিক্ষকদের উপসস্থিতির হারও অনেকটাই কম। এককথায় ন্যূনতম বলা যেতে পারে। তবে চলতি মাসের পাঁচ তারিখ থেকে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তিকে কেন্দ্র করে যে উচলায়তন তৈরি হয়েছিল গোটা ভূস্বর্গ জুড়ে এবার তা ধীরে ধীরে কাটছে। ১৪৪ ধারা দিনের বেলায় প্রায় নেই বললেই চলে। রাতে আবার সেনা নিরাপত্তায় ফিরে যাচ্ছে গোটা এলাকা। শ্রীনগর ও গোটা উপত্যকার বেশকিছু অংশএ এখনও ২৪ ঘণ্টার কার্ফিউ জারিই থাকছে।
নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে গুটি গুটি পায়ে চলতে শুরু করেচে জম্মু ও কাশ্মীর। তাই দিনে নতুন সরকারের কাজ চলছে। রাতে ফের কার্ফিউ। যতক্ষণ না উপত্যকার উত্তেজনা প্রশমিত হচ্ছে ততক্ষণ কার্ফিউ থাকবেই। বিশেষ করে বেশকিছু স্পর্শকাতর এলাকায় এখনও দিনে রাতের কার্ফিউ আগের মতোই জারি রয়েছে। শ্রীনগরের জনবসতি এলাকায় যে ব্যারিকেড গড়ে তুলেছিল সেনা তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রাথমিক স্কুলগুলি খোলার পর থেকেই পড়ুয়াদের অভাবনীয় উপস্থিতিতে ইতিবাচক সাড়া পায় কাশ্মীর প্রশাসন। তারপরই হাইস্কুলের দরজাও খোলে। তবে আইনশৃঙ্খলার দিকটি সেনাবাহিনীর কড়া নজরেই রয়েছে। সাধারণত যেসব এলাকায় প্রাথমিক স্কুলে ক্লাস শুরু হয়েছিল, সেখানাকার হাইস্কুলেরও ক্লাস শুরু হয়। প্রথমদিন পড়ুয়া না থাকলেও বেশিরভাগ স্কুলে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ শিক্ষকের উপস্থিতি ছিল। একইভাবে অন্যদিকের স্কুল গুলিতে ৫০ শতাংশ শিক্ষককে আসতে দেখা গিয়েছে। আরও পড়ুন-Mary Kom: জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা নিয়ে মন্তব্য ভারতীয় বক্সার মেরি কমের
এই প্রসঙ্গে কাশ্মীরের স্কুল শিক্ষার পরিচালক মহম্মদ ইউনিস মালিক (Mohammad Yonis Malik) বলেন, বুধবার ৭৭৪টি স্কুল চালু হয়েছে শ্রীনগরে। গত তিনদিনে সেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। বান্দিপোরা (Bandipore) ও কুপওয়ারাতে (Kupwara) ক্রমশ পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ছে। ৩৭০ ধারা (Article 370) তুলে দেওয়ার পর কেন্দ্র কাশ্মীরকে দুটি অংশে ভাগ করে দিয়েছে চলতি মাসেই। দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Union Territory), একটি লাদাখ। আর অন্যটি জম্মু ও কাশ্মীর।