Maharashtra: মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট, মুখ্যমন্ত্রী কে জানেন?
বৈঠকে বসেছেন এনসিপি, শিবসেনা ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা (Photo Credit: IANS)

মুম্বই, ১৫ নভেম্বর: রাত পোহালেই রাজ্যপাল কোশিয়ারির কাছে সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে যাবে শিবসেনা এনসিপি কংগ্রেস। সরকার গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে কে কটি ক্ষেত্রে নিজেদের দলীয় প্রতিনিধি রাখতে পারবে তারও চূড়ান্ত খসড়া তৈরি হয়ে গেল শুক্রবার। এবার তা অনুমোদনের জন্য শরদ পাওয়ার, সোনিয়া গান্ধী এবং উদ্ধব ঠাকরের কাছে পাঠালেই কাজ শেষ। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে শিবসেনা ১৬ জন প্রতিনিধিকে মন্ত্রিসভায় পাঠাবে।  এনসিপি ১৪ জনকে আর কংগ্রেসের ১২ জন প্রতিনিধি মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় থাকবে। একইভাবে অধ্যক্ষ পদে বসবেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি। আর সহকারী অধ্যক্ষ হবেন শিবসেনার প্রতিনিধি।

তবে এতকিছুর পরেও মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্চ করেনি। যদিও এদিন এনসিপির (NCP) মুখপাত্র নবাব মালিক বলেই দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হবেন শিবসেনার প্রতিনিধি, এবিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। কারণ এই পদকে কেন্দ্র করেই আজকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিজেপি জোট ধর্ম পালনে ব্যর্থ হয়েছে, কথা রাখেনি। শিবসেনাকে অপমান করা হয়েছে। তাই নতুন জোট সরকারের মূল দায়িত্বই হল শিবসেনার আত্মসম্মান বজায় রাখা। এদিকে শুক্রবার দুপুরে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার জানিয়ে দিলেন, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা। মারাঠা স্ট্রং ম্যান এও দাবি করেন, “অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি (Common Minimum Programme) নিয়ে তিন দল ঐক্যমতে পৌঁছেছে। সরকার যাতে পাঁচ বছর চলে তা সুনিশ্চিত করব”। এখানেই থামেননি পাওয়ার। কদিন আগে ফড়নবীশ বলেছিলেন, “আমি আবার ফিরে আসব।” এ ব্যাপারে তাঁকে কটাক্ষ করে পাওয়ার এদিন বলেন, কদিন ধরে আমার মনে মধ্যেও এ কথাই চলছে—আমি আবার ফিরে আসব..আমি আবার ফিরে আসব”। আরও পড়ুন-Maharashtra Government Formation: মহারাষ্ট্রে আগামী ২৫ বছর শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রীত্ব চলবে, ফের সরব সঞ্জয় রাউত

মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল গত ২৪ অক্টোবর। কিন্তু সরকার গঠনের রফাসূত্র নিয়ে শিবসেনা-বিজেপি-র বনিবনা হয়নি। কারণ, অর্ধেক মেয়াদ তথা আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি জানাচ্ছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তাতে রাজি হয়নি বিজেপি। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যে বিকল্প জোট গঠনে নেমে পড়ে শিবসেনা। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েন শরদ পওয়ারও। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে এ ব্যাপারে রাজি করানোরও চেষ্টা শুরু হয়ে যায়। সে জন্য পাওয়ার যেমন সক্রিয় ছিলেন তেমনই সক্রিয় ছিলেন রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের বড় অংশ।