পি চিদাম্বরম (Photo Credit: INS)

নতুন দিল্লি, ১ নভেম্বর: স্বাস্থ্যের খাতিরে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমের (P Chidambaram Interim Bail) অন্তর্বতীকালীন জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। তারপর রায়ে জানালো, এইমসের (AIIMS) পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিগত ওয়ার্ডে চিদাম্বরমকে ভর্তির দরকার নেই। বরং তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে চিদাম্বরমের কুঠিরটিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করুন। সেখানে মিনারেল ওয়াটার রাখুন, মশা মারার ধূপ ও মুখোশের ব্যবস্থা করুন। এইমসের মেডিকল রিপোর্ট পরীক্ষা করে এই রায় দিলেন বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta) এদিন আদালতে মেডিকল রিপোর্টটি পেশ করে তিনি বলেন, শুক্রবার সকালেই মেডিকল বোর্ড পি চিদাম্বরমকে পরীক্ষা নীরিক্ষা করেন।

বিচারপতি কাইত বলেন তিহাড় জেলের (Tihar Jail) সুপারকে নির্দেশ দেন, চিদাম্বরমের কুঠুরিটি পরিষ্কার করে  মশার নেট, বাড়ির তৈরি খাবার, পরিষ্কার পানীয় জল, মাস্ক দেওয়া হোক। প্রতিদিন ব্লাড প্রেশার চেকআপ থেকে শুরু করে ওপিডি সবকিছুরই ব্যবস্থা রাখতে হবে। গত বুধবার পি চিদাম্বরমকে তিহাড় জেলে পাঠিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court) । আপাতত ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানেই তাঁর ঠাঁই মিলেছে। মূলত স্বাস্থ্যের খারাপ অবস্থার কথা পাত্তা না দিয়েই আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় (INX Media)পি চিদাম্বরমকে আপাতত মুক্তি মিলছে না। চিদাম্বরমের তরফে ছয় দিনের একটি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন আদালতে জমা পড়েছিল। হায়দরাবাদের যে গ্যাস্ট্রো এন্ট্রোলজিস্টকে তিনি দেখান তাঁকেই দেখানোর পরিকল্পনা করেছেন। তবে সেই আবেদন নাকচ হয়েছে। আরও  পড়ুন-Delhi Air Pollution: দূষণে ঢেকেছে রাজধানী, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত স্কুল কলেজে ছুটি ঘোষণা কেজরিওয়ালের

আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় গত ২১ আগস্ট তাঁর বাড়ি থেকে পি চিদাম্বরমকে গ্রেপ্তার করে। সিবিআই আইএনএক্স মামলায় চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। অন্যদিকে আর্থিক অসঙ্গতির তদন্ত করছে ইডি (ED)। ২০১৭-র ১৫ মে সিবিআই (CBI) চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এরপর ওই একই সময়ে ইডিও চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দেয়। আইএনএক্স মিডিয়ার মালিক পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখার্জিকে ৩০৫ কোটির বিদেশি লগ্নি এনে দিয়েছেন পি চিদাম্বরম, সৌজন্যে এফআইপিবি। সেই টাকা জুটিয়ে দিয়ে ভালরকম কমিশন খেয়েছেন ছেলে কার্তি চিদাম্বরম। তবে কর্তি বা চিদাম্বরমের অ্যাকাউন্টে সেই টাকার হদিশ মেলেনি।