নতুন দিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর: বিরোধী সংসদ সদস্যদের বিক্ষোভের মধ্যেই দুটি কৃষিক্ষেত্র সংস্কার বিল (Firm Bill) রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাস হয়ে গেল। বিভিন্ন কৃষকের সংগঠনগুলি ন্যূনতম সহায়তা মূল্য (এমএসপি) দিয়ে আর বেতন পাবে না এই ভয়ে বিলগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যে এই তিনটি বিল ন্যূনতম সমর্থন মূল্য ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার জন্য একটি পথ তৈরি করবে।
বিলের বিরোধিতা করেন ডেরেক ও ব্রায়েন-সহ অন্য বিরোধী নেতারা। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O'Brien) কৃষি বিলের বিষয়ে সভায় আলোচনার সময় রাজ্যসভার উপ-চেয়ারম্যান হরিবংশকে হাউস রুল বই দেখান। তিনি বলেন, তারা সংসদের প্রতিটি বিধি ভঙ্গ করেছে।এটি একটি ঐতিহাসিক খারাপ দিন ছিল। আরএসটিভি ফিড কেটে দেয় যাতে দেশ দেখতে না পারে। তারা আরএসটিভি সেন্সর করেছে, বলেও অভিযোগ করেন। আরও পড়ুন, আইপিএল ২০২০-র প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে জয়ী চেন্নাই সুপার কিংস
They cheated. They broke every rule in Parliament. It was a historic day. In the worst sense of the word. They cut RSTV feed so the country couldn't see. They censored RSTV. Don’t spread propaganda. We have evidence. But first watch this pic.twitter.com/y4Nh9Vu9DA
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) September 20, 2020
UPDATE
MPs from opposition parties now sitting in dharna INSIDE Rajya Sabha. The opposition wanted a vote (division) on #FarmBills Govt pushed bills denying Oppn legit right
Here is video #2 pic.twitter.com/GOru0l7oQZ
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) September 20, 2020
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই সরকার বিরোধীদের কথা শুনছে না। ১৪ টি বিরোধী দল এই বিলের বিরুদ্ধে ছিল। সিস্টেম ও গণতন্ত্রের হত্যা করছে সরকার। সংবাদমাধ্যম এখানে উপস্থিত ছিল না। বিজেপি এই দিনটিকে ঐতিহাসিক দিন বলছে। এটা ঐতিহাসিক দিন নয়। এটি ইতিহাসের সব থেকে খারাপ দিন। বিরোধী দলগুলির সাংসদরা এখন রাজ্যসভার ভিতরে ধর্নায় বসেছেন। তারা সকলেই ভোট চেয়েছিল। বিরোধীদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।
আজ রবিবার, রাজ্যসভায় পেশ করা হয় কৃষি বিল। সেখানে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ে মোদি সরকার। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা। দেওয়া হয় স্লোগান। উপরাষ্ট্রপতির সামনে কৃষি বিলের কপি ছেঁড়েন বিরোধীরা। অবশেষে দুপুরে অধিবেশন শেষের আগে রাজ্যসভায় ধ্বনিভোটে পাস হয়ে যায় কৃষি বিল। রাজ্যসভায় মোট ২৪৩টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে লাগত ১২২টি ভোট। এর মধ্যে এনডিএ-র হাতে রয়েছে ১১১টি ভোট। অর্থাৎ প্রয়োজনের তুলনায় এনডিএ-র হাতে ১১টি ভোট কম।