ইসলামাবাদ, ১ আগস্ট: পাকিস্তানের জেলে বন্দি প্রাক্তন নৌসেনা কর্তা কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিল ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়েছে সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় কূটনীতিকরা কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। দেখা করার সময় আগামিকাল শুক্রবার বেলা তিনটে বেজে তিরিশ মিনিট। এই সময়ই বেঁদে দিয়েছে ইসলামাবাদ। আন্তার্জাতিক আদালাতের ১০ সদস্যের বিচারপতি দলের নির্দেশমাফিক যে এই দেখা করার আমন্ত্রণ এসেছে তা বেশ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সাউথব্লকের কাছে। আরও পড়ুন-ওসামা বিন লাদেন পুত্র হামজার মৃত্যু হয়েছে, খবর ছড়াল আমেরিকা
উল্লেখ্য, আন্তার্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগ ছিল কুলভূষণ যাদবের মামলায় কনস্যুলার অ্যাকসেস দিচ্ছে না পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের আরও অভিযোগ ছিল, ৪৯ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা অফিসার কুলভূষণের সঙ্গে পাকিস্তানে ভারতীয় হাইকমিশনের সদস্যদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই ভাবেই ভিয়েনা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে ইসলামাবাদ। পাক সামরিক আদালতের ওই রায়কে ভারতের তরফে আন্তর্জাতিক আদালতে ‘বিচারের নামে প্রহসন’ বলে অভিযোগ করা হয়। পাকিস্তান ভারতের সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। বলে, কুলভূষণের মতো ‘গুপ্তচর’ দিয়েই ভারত পাকিস্তানের গোপন খবরাখবর সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল। এই মামলায় ভারতের পক্ষে আইনজীবী হরিশ সালভে পাকিস্তানের সামরিক আদালতের কার্যকলাপ নিয়েও আন্তর্জাতিক আদালতে প্রশ্ন তোলেন। তারই প্রেক্ষিতে তিনি যাদবকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ খারিজ করার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে আর্জি জানান। অন্য দিকে, পাকিস্তানের আইনজীবী খায়র কুরেশি আন্তর্জাতিক আদালতকে ভারতের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধ করেন।
Raveesh Kumar, MEA on Pakistan offering India consular access to Kulbhushan Jadhav: The proposal sent by Pakistan is being evaluated by us as per the guidelines given by ICJ. Whatever response is to be sent will be given by us timely through diplomatic channels. https://t.co/eQpXxJ410d
— ANI (@ANI) August 1, 2019
তবে গত ১৭ জুলাই দ্যা হেগ শহরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক আালতের রায় যায় ভারতের পক্ষে। আন্তর্জাতিক আদালতের সেই রায়কে ভারত ‘বড় জয়’ বলে স্বাগত জানিয়েছিল।সেই রায়ের নির্দেশ মেনেই এই কনস্যুলার অ্যাকসেস দিচ্ছে ইসলামাবাদ। বলা বাহুল্য, ইরান থেকে পাকিস্তানে ঢোকার পর গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে ২০১৬-এর ৩ মার্চ বালুচিস্তান প্রদেশ থেকে কুলভূষণকে গ্রেপ্তার করে পাক নিরাপত্তা বাহিনী। তার পর ২০১৭-র এপ্রিলে কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাক সামরিক আদালত। ওই সময় ভারতের তরফে জানানো হয়, নৌবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর ইরানে ব্যবসায়িক কাজে গিয়েছিলেন কুলভূষণ। সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। রায় ঘোষণা পর্যন্ত কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে স্থগিতাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক আদালতের ১০ সদস্যের বেঞ্চ।