ওয়াশিংটন ডিসি, ১ আগস্ট: আলকায়দা প্রধান (al-Qaeda founder) ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের (Hamza Bin Laden) মৃত্যু হয়েছে। কবে কখন কোথায় তানিয়ে মুখ না খুললেও এই সংবাদ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। শোনা যাচ্ছিল ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর ছেলে হামজাকেই আলাকায়দার দায়িত্ব নেওয়ার জন্যে পুরোদস্তুর তৈরি করা হচ্ছিল। চলছিল নানরকম প্রশিক্ষণ। এর মাঝেই হামজা বিন লাদেনের মাথার দাম ১০ লক্ষ ডলার ধার্য করে ওয়াশিংটন। তবে তার আগেই নাকি তার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। যদি ওসামা পুত্রের মৃত্যু হয়েই থাকে তবে তার বিশদ কেন জানাচ্ছে না আমেরিকা তানিয়ে জনমনে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। আরও পড়ুন-সোনার লোভে আমাজনের অরণ্যে খুনোখুনি, ব্রাজিলে চাঞ্চল্য
মার্কিন যুক্ত রাষ্টের এবিসি নিউজ সূত্রের খবর সেদেশের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক হামজার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। তারপর বুধবার বিভিন্ন মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে ওসামা পুত্রের মৃত্যুসংবাদ প্রকাশিত হয়। এমনিতে যে কটি দেশ হামজার অনুসন্ধানে ছিল তাদের একদম প্রথমে নাম রয়েছে আমেরিকার। হামজার যখন মৃত্যুই হয়েছে তখন কেন তার মাথার দাম দার্য করল মার্কিন প্রশাসন, তানিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গত দুবছরের মধ্যেই নাকি কোনও এক সময় হামজার মৃত্যু হয়েছে। এমন খবর প্রকাশিত হলেও ওভালে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আমেরিকার নেভি সিলদের হানায় ওসামা-বিন-লাদেন (Osama Bin Laden) নিহত হন। তখন আমেরিকা থেকে তাঁর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয়। অ্যাবোটাবাদের যে বাড়িতে ওসামা বিন লাদেন ছিল, সেখানে অভিযান চালিয়ে বহু নথি উদ্ধার করে মার্কিন সেনা গোয়েন্দারা। সেই নির মধ্যেই ছিল একটি ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছিল ওসামার ছেলে হামজার বিয়ে হচ্চে। বিয়ের কনে আলকায়দার কোনও শীর্ষস্থানীয় নেতার মেয়ে। ইরানেই নাকি তাদের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর ওই দম্পতি ঠিক কোথায় থাকছিল, তানিয়ে মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে কোনও নির্ভরষোগ্য তথ্য নেই। কখনও মনে করা হচ্ছিল স্ত্রীকে নিয়ে হামজা আফগানিস্তান, পাকিস্তান অথবা সিরিয়াতে আছে। কখনও বা ইরানে গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছে ওই দম্পতি, এমন খবর আসত। হামজা ওসামার ১৫ নম্বর ছেলে। আলকাদা প্রধানের ২০জন সন্তান রয়েছে। তৃতীয় স্ত্রীর নামও হামজা, তাঁর ছেলে হামজার মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে। এই ছেলে বিভিন্ন সময় বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেছে। সেসব ভিডিও প্রকাশ হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোদেরও হুমকি দিত সে। তারপরেই তার মাথার দাম ১০ লক্ষ ডলার ধার্য করে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র।