লখনউ, ২৯ জুলাই: মাত্র এক মাস আগে পোষ্য পিটবুলের আক্রমণে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও পিটবুলের যত্ন নেওয়ার জন্য লখনউ পুরসভার দ্বারস্থ হলেন যুবক অমিত ত্রিপাঠী। এক্ষেত্রে পুরসভার আরোপিত কিছু শর্ত তাঁকে মানতে হয়েছে। ঘাতক পিটবুলের (‘Killer’ Pitbull) মালিকের থেকে লিখিত সম্মতি পাওয়ার পরেই পোষ্যকে তার জায়গায় ফিরিয়ে দিয়েছে লখনউ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।
শুক্রবার পুরসভার এক কর্তা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, "পিটবুলের মালিক জানিয়েছন, পোষ্যকে নিয়মতি একজন প্রশিক্ষকের কাছে নিয়ে গিয়ে তার মানসিক চিকিৎসা করাবেন তিনি। যাতে পিটবুল ঘাতক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসে। এর অন্যথা হলে লখনউ পুরসভা ফের মালিকের কাছে থেকে পোষ্যকে ছিনিয়ে নেবে। পুসভার অধীনে এই পিটবুলকে ১৫ দিন রাখা যেতে পারে। সেই সময়সীমা ফুরিয়ে যাওয়ায় মালিক বার বার পুরকর্তাদের কাছে গিয়ে পোষ্যকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছিলেন।"
লখনউ পুরসভার পশুকল্যাণ বিভাগের ডিরেক্টর অরবিন্দ রাও বলেছেন, "আমরা জারহারা প্রাণী জন্মনিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে পিটবুলের স্বাস্থ্যের অবস্থা পরীক্ষা করেছি। এলএমসি প্রশিক্ষকদের পরামর্শের পর আমরা কুকুরটিকে তার মালিকের কাছে শর্তসহ এবং সীমিত সময়ের জন্য ফিরিয়ে দিয়েছি। যদি মালিককে নির্দেশ অনুযায়ী কুকুরের যত্ন নিতে দেখা যায়, তাহলে তাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পিটবুল রাখার অনুমতি দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে আগামী ১৪ দিন মালিকের কাছে পিটবুল থাকবে। তারপর সময়সীশেষ হলে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করা যাবে।" আরও পড়ুন-Delhi: 'তামাক যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর কারণ', আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সিগারেটের প্যাকেটে থাকবে এই সংশোধনী
এই ঘাতক কুকুরকে সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করে লখনউ পুরসভায় অন্নত ২০টি চিঠি এসেছে। কিন্তু পুরকর্তৃপক্ষ মনে করছে, অন্য কাউকে পিটবুল দেওয়ার আগে একবার মালিকের কাছে তাকে ফেরত পাঠানো হোক।