নির্মলা সীতারমণ (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি: মাহেন্দ্রক্ষণ প্রায় সমাগাত। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চলতি বছরের আর্থিক বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। একে কোভিড কাঁটা তায় বেহাল অর্থনীতি, সঙ্গে জুড়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আর নতুন ক্ষমতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জনমোহিনী বাজেট পেশের চাপ রয়েছেন নির্মলা সীতারমণের উপরে। টানা নয় মাস বাজার বন্ধ থাকায়। অতি ধনীর আয় যেমন বেড়েছে। তেমনই দেশের বৃহৎ অংশের সাধারণ মানুষ বেরোজগারিতে ভুগছে। ছাটাই থেকে শুরু করে মাইনে কেটে নেওয়া বিবিভ কারমে মানুষের হাতে টাকা নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজকোষ ভরাতে ব্যক্তিগত করের বোঝা বাড়িয়েই চলেছে কেন্দ্র।

পেট্রোল, ডিজেলের মূল্য তো প্রতিদিন বাড়ছে। সঙ্গে জিএসটি। রান্না ঘরেও বিপর্যয়। হু হু করে বাড়ছে গ্যাসের দাম। একে চাকরি নেই, সঙ্গে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের এই অবিরাম মৃল্যবৃদ্ধি সাধারণ ভারতীয়র জীবনে নাভিঃশ্বাস উঠেছে। যদিও এরমধ্যে সীতারমণ দাবি করেছেন যে তিনি  বৈপ্লবিক বাজেট পেশ করতে চলেছেন। অন্যদিকে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে অর্থনীতির হাল শক্ত হাতে ধরে খারাপ সময় পেরিয়ে যাওয়াটাই বিচক্ষণতার পরিচয়। এমনিতেই করোনা দেখিয়েছে, শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা আমাদের দেশে কতটা প্রয়োজন। নিজের পকেটের টাকা খরচ করে চিকিৎসার সুযোগ নেওয়া দু’টো কারণে বড় চ্যালেঞ্জ নাগরিকদের কাছে। বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা ক্রমাগত সাধারণ মানুষের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। মবামারীর সময় বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও যাতে কোভিডের চিকিৎসার খরচ সাধারণের আয়ত্তের মধ্যে থাকে। আরও পড়ুন-CNG Gas: কলকাতাতে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির জন্য সর্বপ্রথম CNG পৌঁছে দিল EOGEPL

এই পরিস্থিতিতে সরকারের গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় খরচ বাড়ানো সত্যি প্রয়োজন। গত বছর ৬৪ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় খরচ হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এ বছর টিকাকরণে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার আশেপাশে খরচ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে আইএমএফ-সহ বিভিন্ন সংস্থা এবং দেশের আর্থিক সমীক্ষাও দাবি করেছে, এই বৃদ্ধি উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে সর্বাধিক। শুধু উন্নয়নশীল দেশ কেন, অনেক উন্নত দেশের চেয়েও বেশি। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, ভারতের গড় সঙ্কোচন মহামারীর কালে কিন্তু ৭.৫ শতাংশের উপরে। এখনও পর্যন্ত এগুলি সবই সমীক্ষা এবং অনুমান। আসল ক্ষতির পরিমাণ আমাদের হাতে আসতে আরও সময় লাগবে। অর্থনীতিবিদর বার বার বলছেন সাধরাম জনগণের হাতে টাকা তুলে দিতে হবে সরকারকে। নাহলে বাজারটাই চলবে না অর্থনীতির সমবন্টন বাধাপ্রাপ্ত। এদিকে কেন্দ্র ব্যক্তিগত কর বাড়িয়ে রাজকোষ সুরক্ষিত করতেই ব্যস্ত। এখন দেখার আজকের আর্থিক বাজেটে আয়করের বোঝা কমিয়ে আম ভারতীয়কে ঠিক কতটা স্বস্তি দিতে পারেন নির্মলা সীতারমণ।