নয়া দিল্লি, ৬ জানুয়ারিঃ সালটা ২০১৯ আচমকাই কোভিড ১৯ (Covid 19) নামক এক ভাইরাস গ্রাস করে ফেলল গোটা বিশ্বকে। এই মারণ ভাইরাসের কামড়ে প্রায় ১ কোটি প্রাণ বলি হয়েছে। ভাইরাসের উৎস ছিল চিন (China) দেশ। ধীরে ধীরে সময় যত এগিয়েছে করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) প্রভাব মানুষের শরীরে কমতে শুরু করেছে। কোভিড অতিমারির দুর্বিষহ স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বল করছে সকলের মনে। স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, শিক্ষা ভেঙে পড়েছিল সমাজের বিভিন্ন স্তরের পরিকাঠামো। সেই পরিস্থিতি থেকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারার আগেই ফের নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে আর এক ভাইরাস HMPV (হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস)। এই নয়া ভাইরাসের উৎসও সেই চিন দেশ।
চিনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মারফত জানা যাচ্ছে, এই এইচএমপিভি-র (HMPV) জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেই দেশে। করোনার মতই এই ভাইরাসের লক্ষণ তীব্র শ্বাসকষ্ট। হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়ছে রোগীদের সংখ্যা। অজানা ভাইরাসের আতঙ্কের মাঝে ভারতে থাবা বসাল HMPV। বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) এক আট মাসের শিশুর দেহে মিলল হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস। ওই শিশুর বিদেশ যাওয়া কিংবা আসার কোন খবর নেই বলেই জানা যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ভারতে অজানা ভাইরাস নিয়ে কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দিল্লির শীর্ষ স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ বন্দনা বাগ্গা রবিবার মেডিক্যাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠক শেষে জানানো হয়েছে, শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের চিকিৎসা আরও মজবুত করতে হবে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডার, প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন, ব্রঙ্কোডাইলেটর এবং কাশির সিরাপের মতো ওষুধগুলি মজুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
HMPV কী?
সাধারণ সর্দি, কাশি থেকেই সংক্রমণ ঘটায় হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV)। এইচএমপিভি মূলত রোগীর শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে। গলা ব্যাথা, কাশি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে তীব্র শ্বাসকষ্টের মত উপসর্গ দেখা যায় এই ভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের।
কোভিড ১৯ ভাইরাসের মতই HMPV-র লক্ষ্য মানবদেহের শ্বাসযন্ত্র। দুই ভাইরাসের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য মিল রয়েছে। দুই ভাইরাসই ছোট শিশু এবং প্রবীণদের মধ্যে আগে সংক্রমণ ঘটায়। এছাড়া দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদেরও দ্রুত সংক্রমিত করে। HMPV-তে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে মূলত অন্য ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করে এই ভাইরাস।