প্রবেশিকা পরীক্ষার কোচিং সেন্টারগুলিতে পাতা হয়েছে মৃত্যুফাঁদ। অতিরিক্ত ছাত্রকে জায়গা দিতে একাধিক রাজেন্দ্র নগরের (Rajindra Nagar) একাধিক কর্তৃপক্ষই বিল্ডিংয়ের বেসমেন্টেই খুলে ফেলেছে কোচিং সেন্টার। শনিবারের ঘটনার পর অবশেষে চোখ খুলেছে প্রশাসনের। রবিবার বিকেল থেকেই অবৈধ সেন্টারগুলিকে চিহ্নিত করতে রাস্তায় নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন। দিল্লি পুরসভার অতিরিক্ত কমিশনার তারিক থমাস জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৮টি অবৈধ কোচিং সেন্টার চিহ্নিত করা হয়েছে যার মধ্যে ৩টি সরকারিভাবে সিল করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে আরও বেশ কয়েকটি সেন্টার বন্ধ করা হবে। এই নিয়ে সরকারের তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

দিল্লি পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তবে কত টাকা দেওয়া হবে তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। সরকারে সমস্ত বেআইনি কোচিং সেন্টারের ওপর কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও নিশ্চিত করেছেন কমিশনার তারিক থমাস। যদিও ঘটনার ঘটার বেশ কয়েকঘন্টা পরেই রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হল। কারণ সকাল থেকেই দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ শুরু করে ছাত্র থেকে শুরু করে রাজ্যের বিরোধী দল। তারপরেই বিকেল থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধের কাজ শুরু করে প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, শনিবার রাজেন্দ্র নগরের একটি কোচিং সেন্টারে বর্ষার জল ঢুকে যায়, আর তাতে ডুবে তিন ইউপিএসসি পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। তদন্তে নেমে জানা যায় বেসমেন্টে কোচিং সেন্টার খোলার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। তারপরেও অবৈধভাবে লাইব্রেরি খুলেছিল ওই কোচিং সেন্টারের কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই মালিক ও তাঁর সহকারীকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।