
জাতীয় প্রযুক্তি দিবসের (National Technology Day) একটা ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে ভারতে। এই দিনটিকে ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কৃতিত্ব হিসেবে স্মরণ করা হয়। কারণ, ১৯৯৮ সালের আজকের দিনেই অর্থাৎ ১১ মে পোখরানে (Pokhran Operation) সফল ভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা করেছিল ভারত। প্রতি বছর এই দিনে অনবদ্য কৃতিত্বের জন্য ভারতের বিজ্ঞানীদের সম্মান প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, প্রযুক্তিগত বৃদ্ধি দেশের জীবিকা ও অবস্থাকে প্রভাবিত করছে। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রম এবং কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে জাতীয় প্রযুক্তি দিবস পালন করা হয়। জাতীয় প্রযুক্তি দিবসের ইতিহাস আমাদের ১৯৯৯ সালে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) ১১ মে দিনটিকে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের দিন হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড তখন থেকেই বিজ্ঞানী, প্রকৌশলীদের এবং তাদের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনগুলিকে সম্মান জানিয়ে আসছে। বিশেষ করে এই দিনটার গুরুত্ব কী, ইতিহাসই বা কী, এমনই অজানা সব তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
ইতিহাস
১৯৮৮ সালের ১১ মে পোখরানে সফল ভাবে পরমাণু পরীক্ষা করে প্রযুক্তিগত দিক থেকে বড় অগ্রগতি অর্জন করেছিল ভারত। এই দিনেই প্রথম দেশীয় বিমান ‘হাঁস-৩’ পরীক্ষা করা হয়েছিল। পাশাপাশি একই দিনে ত্রিশুল নামক ক্ষেপনাস্ত্রেরও সফল পরীক্ষা চালিয়েছিল ভারত। এমন সব প্রযুক্তগিত অগগ্রতির কথা বিবেচনা করে ১৯৯৯ সালের ১১ মে তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রতি বছর এই দিনটিকে জাতীয় প্রযুক্তি দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা করেছিলেন।
তাৎপর্য
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রযুক্তি উন্নয়ন বোর্ড (Technology Development Board) প্রযুক্তির বাণিজ্যিকীকরণের জন্য তিনটি বিভাগে জাতীয় পুরস্কারের আবেদন করে। সেই বিভাগ তিনটি হল, জাতীয় পুরস্কার MSME পুরস্কার এবং স্টার্টআপ পুরস্কার।
উদ্ভাবনী দেশীয় প্রযুক্তির সফল বাণিজ্যিকীকরণের জন্য বিভিন্ন শিল্পকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই সম্মান ভারতের শিল্প এবং তাদের প্রযুক্তি প্রদানকারীদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তুলে ধরে, যাঁরা বাজারে উদ্ভাবন নিয়ে আসতে কাজ করে এবং ‘আত্মনির্ভার ভারত’-এর দৃষ্টিভঙ্গিতে অবদান রাখতে সাহায্য করে।
টিডিবি (TDB) হল ভারত সরকারেরই একটি সংস্থা যা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিভাগের অধীনে কাজ করে। প্রযুক্তি উন্নয়ন বোর্ড বা টিডিবি দেশের শিল্প উদ্বেগ এবং অন্যান্য সংস্থাকে স্বদেশী প্রযুক্তির বাণিজ্যিকীকরণ বা বিস্তৃত দেশীয় অ্যাপ্লিকেশনের জন্য আমদানি করা প্রযুক্তির অভিযোজনে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড প্রযুক্তির বাণিজ্যিকীকরণের জন্য ৩০০টিরও বেশি সংস্থাকে অর্থায়ন করেছে।




