দেরাদুন, ৮ ফেব্রুয়ারি: রবিবার দুঃস্বপ্নের স্মৃতি ফিরল উত্তরাখণ্ডে। নন্দাদেবী হিমবাহ ফেটে (Nanda Devi glacier broke off) প্লাবিত চামোলির যোশীমঠ। এখনও পর্যন্ত ৮ জনের দেহ উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভারতীয় বায়ুসেনার রিপোর্ট বলছে, ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে ঋষিগঙ্গার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ। দেহ খুঁজে পেতে রাতভর চলেছে উদ্ধারকাজ। অলকানন্দার জল থেকেই উদ্ধার হয়েছে ১০ জনের দেহ। রেইনি গ্রামের তপোবন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে বিরাট প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনায় বিশ্বস্ত বন্ধু দেশ ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নিজে একথা জানিয়েছেন। উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ বিপর্যয়ের ঘটনায় একইভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে প্রতিবেসী নেপালের বিদেশমন্ত্রক। আরও পড়ুন-Glacier Burst in Uttarakhand Live: জোশীমঠে ভয়াবহ তুষারধসে প্লাবিত ধৌলিগঙ্গা, চামোলির তপোবনে ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার, কমপক্ষে ১৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি নিখোঁজদের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে। এই বিপর্যয়ে পাশে থেকে ভারতকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেলও। জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের ওই এলাকা এমনিতেই ভূতাত্ত্বিক ভাবে খুব সংবেদনশীল। শীতের শেষে এমন তুষারধস একেবারে অস্বাভাবিকও বলা চলে না। কিন্তু কয়েক দশক আগেও এমন ঘটনা ঘটত না। যে দিন থেকে মানুষ নদীর ঢাল নিজের খুশি মতো বদলে দিতে এবং নদীগর্ভ দখল করতে শুরু করল, সে দিন থেকেই এই বিপদের শুরু।
#WATCH Uttarakhand: SDRF removes the debris and slush at the tunnel near Tapovan dam in Chamoli to carry out the further rescue operation. Latest visuals from the site.
8 bodies have been recovered in the rescue operation so far.
(Source: SDRF) pic.twitter.com/TSkzSgnI2N
— ANI (@ANI) February 8, 2021
Uttarakhand: Canine squad also deployed to carry out the search operation near Tapovan dam in Chamoli. A flash flood hit the area yesterday.
(Pic Source: NDRF Director-General SN Pradhan) pic.twitter.com/gwIS8w8dVN
— ANI (@ANI) February 8, 2021
তাছাড়া এ দিনের বিপর্যয়ের যে ছবি দেখা গিয়েছে, তাতে শুধু বরফগলা জল নয়, কাদা, পাথর, নুড়ির স্রোত প্রবল বেগে বয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। চলার পথে সামনে যা পেয়েছে তাই গুঁড়িয়ে দিয়েছে ওই ভয়ঙ্কর স্রোত। এই ভয়ঙ্কর স্রোতের পিছনে নদীর উপরে ইচ্ছেমতো বাঁধ নির্মাণকেও দায়ী করছেন পরিবেশবিদ ও ভূগোলবিদেরা। তাঁরা বলছেন, হিমবাহ ফেটে জল বেরোলে তা বাধাহীন ভাবে বয়ে গেলে এত ক্ষতি হত না। কিন্তু তা এসে ধাক্কা খেয়েছে বাঁধে। বাঁধের পিছনে জলের সঙ্গে প্রচুর কাদা, পাথর জমে থাকে। বাঁধ ভাঙার সময় সেগুলিও জলের সঙ্গে মিশেছে। এ বার বাঁধ ভাঙার সময় জলের চাপও বদলে গিয়েছে এবং প্রবল তোড় নিয়ে সে এগিয়ে চলেছে।