Subsidised Food In Parliament Canteen: সংসদের ক্যান্টিনে আর ভর্তুকিতে খাবার খাবেন না সাংসদরা, বাঁচবে ১৭ কোটি
সংসদ ভবন(Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ৫ ডিসেম্বর: সংসদের (Parliament) ক্যান্টিন (Canteen) থেকে ভর্তুকিতে (subsidised food) আর খাবার খেতে চাইছেন না সাংসদরা। বাজারের দামেই তাঁরা খাবার কিনে খাবেন। এ নিয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন সাংসদরা। জানা যাচ্ছে, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার (Lok Sabha Speaker Om Birla) পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাংসদরা। সূত্রের খবর, লোকসভার বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠকে সংসদের ক্যান্টিন থেকে ভর্তুকিতে খাবার না খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জানা যাচ্ছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে বছরে ১৭ কোটি টাকা বাঁচবে। সংসদের ক্যান্টিনে বাজাররে দামেই খাবার পাওয়া যাবে।

২০১৫ সালে একটি রিপোর্ট সামনে আসে। তাতে দেখা যায় সংসদের ক্যান্টিনে ৮০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। তৎকালীন বিজু জনতা দলের লোকসভার সাংসদ বৈজয়ন্ত জে পান্ডা (Baijayant Jay Panda) স্পিকারকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন যে সাংসদ সদস্যরা যদি ক্যান্টিন থেকে ভর্তুকি ছাড়া খাবার কেনেন তবে তা বৃহত্তর জনগণের আস্থা বাড়াতে কার্যকরী পদক্ষেপ হবে। আরও পড়ুন: Human Trafficking In Pakistan: বিয়ের নাম করে চিনে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল ৬২৯ জন নাবালিকা সহ মহিলাকে!

২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর লোকসভা এক বিবৃতি জারি করে। তাতে বলা হয়, "কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরে স্পিকার অনেকগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সংসদের ক্যান্টিন এখন 'অলাভজনক' ভাবে কাজ করবে। এবার থেকে নো লস–নো প্রফিটে চলবে। অর্থাৎ খাবার তৈরি করতে যা খরচ হবে, সেই দামেই বিক্রি করা হবে। লাভ রাখা হবে না। ক্ষতিও হতে দেওয়া চলবে না। এর পরেই সংসদের ক্যান্টিনে খাবারের দাম বেড়ে যায়।

এক নজরে সংসদের ক্যান্টিনে বিভিন্ন খাবারের দাম: 

খাবারের নাম      দাম
ব্রেড ও মাখন  ৬ টাকা
চাপাতি   ২ টাকা
চিকেন কারি   ৫০ টাকা
চিকেন কাটলেট  ৪১ টাকা
তন্দুরি চিকেন     ৬০ টাকা
কফি       ৫ টাকা
ধোসা     ১২ টাকা
ফিস কারি     ৪০ টাকা
চিকেন বিরিয়ানি ৬৫ টাকা
মাটন কারি   ৪৫ টাকা