লাহোর, ৫ ডিসেম্বর: নারী পাচারের (Women Trafficking) ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এই সংক্রান্ত এমন এক তথ্য যা উদাহরণ হয়ে থাকার মতো। ২০১৮ সালে এই ধরণের পাচারের ঘটনায় কত সংখ্য মহিলাকে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সম্প্রতি। তাতেই দেখা গিয়েছে, এই বিপুল সংখ্যক পাচারের পিছনে রয়েছে পাকিস্তান-বেজিং জোট। জানা গিয়েছে, বেজিংয়ের সঙ্গে জোটের পরই এই পাচারের সংখ্যা বিপুল হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ৬২৯ জন নাবালিকা সহ মহিলাদের চিনের বাজারে (China Market) বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী তাঁদের জোর করে চিনে বিয়ে দিয়ে দেওয়া থেকে ধনী চিনাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার মতো তথ্যও প্রকাশ্যে এনেছে পাকিস্তান। দেশে দারিদ্র-সুরক্ষার অভাবে পাকিস্তান থেকে বেশি সংখ্যক নারী পাচারের ঘটনা যে ঘটে তা স্বীকার করে নিয়েছে প্রতিবেশী দেশ।
সম্প্রতি, পাচারের কাজে যুক্ত ৩১ জন চিনা ব্যাক্তিকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিসের (Police) হস্তক্ষেপে মহিলাদের সচেতন করার চেষ্টা করা হলেও তা বহুবার ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, পরিবারের চাপে কিংবা ভয় দেখিয়ে চুপ থাকার হুমকি দিয়ে বেশিরভাগ মেয়েকেই হাতের পুতুল করে রেখে দেওয়া হত বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে পুলিশ বা আদালত কেউই শেষমেশ সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। এমনকী মুখ খুললেই মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখায় মেয়েরা সাহস করে এগিয়ে আসতে পারছে না বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। আরও পড়ুন: 'Justin Trudeau Two-Faced': তাঁকে নিয়ে গসিপ? জাস্টিন ট্রুডোকে দু-মুখো বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
এ বিষয়ে এক পাক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, ওই সমস্ত নাবালিকা ও মহিলাদের জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না। গোটা প্রক্রিয়াটি এখনও চলছে। সংখ্যাটা দিনে দিনে বাড়ছে। কারণ তারা জানে তারা এটা করে পার পেয়ে যাবে। কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে কোন চেষ্টা করছে না। সকলেই চেষ্টা করছে, যাতে এই বিষয়ে তদন্ত (Investigation) না হোক। ফলে পাচারের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। অন্যদিকে, এই পাচারের ঘটনা নাকি জানেই না চিনের বিদেশ মন্ত্রক!