শিলং, ২৯ ফেব্রুয়ারি: হিংসার আগুন এখনও দিল্লিতে নেভেনি। মৃতের সংখ্যা ৪০ পেরিয়েছে। তার মধ্যেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে এ বার উত্তপ্ত মেঘালয় (Meghalya)। খাসি ছাত্র সংগঠন (KSU) এবং অ-জনজাতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে এক জন প্রাণ হারিয়েছেন। ইতিমধ্যে প্রচুর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার জেরে মেঘালয়ের ছ’টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কার্ফু জারি হয়েছে শিলং-সহ একাধিক জায়গায়।
বাসিন্দাদের আশঙ্কা সিএএ চালু হলে ইনার লাইন পারমিট (Inner Line Permit) প্রথার উপর প্রভাব পড়বে। আনন্দবাজার পত্রিকা-র খবর অনুযায়ী, সীমান্ত সংলগ্ন জনজাতিপূর্ণ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বাইরে থেকে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতি লাগে, যা ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) হিসাবে পরিচিত। পূর্ব খাসি পার্বত্য অঞ্চলের ইছামতী এলাকায় শুক্রবার তা নিয়ে বিশেষ বৈঠক চলছিল কেএসইউ এবং অ-জনজাতি প্রতিনিধিদের মধ্যে। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
আরও পড়ুন, ১০০ অবৈধ আবাসন দখলকারী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সরকারের নোটিশ
সংঘর্ষ চলাকালীন প্রথমে বাজার সংলগ্ন একটি খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক গাড়িতে। সংঘর্ষ চালকালীনই লুরশাই হাইনিউতা নামের এক কেএসইউ সদস্যের মৃত্যু হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে একাধিক পুলিশকর্মী আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিলং-সহ একাধিক এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় পূর্ব জয়ন্তিয়া, পশ্চিম জয়ন্তিয়া, পূর্ব খাসি, রি ভই, পশ্চিম খাসি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি পার্বত্য এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে।