14 Maoists have been killed in joint Operation (Photo Credit: X@airnewsalerts)

গত ২১ জানুয়ারি গারিয়াবন্দ জেলায় পরিচালিত একটি মাওবাদী বিরোধী অভিযানে ছত্তিশগড়-ওড়িশা সীমান্তে কমপক্ষে চৌদ্দ মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে  মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য ও মাওবাদীদের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী জয়রাম ওরফে চালাপতি ছিলেন, যার নামে ১ কোটির পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল বলে জানানা গারিয়াবন্দের পুলিশ সুপার নিখিল রাখেচা।মাওবাদীদের মধ্যে প্রবীণ নেতা জয়রাম রেড্ডি, একাধিক ছদ্মনামেও পরিচিত ছিলেন যেমন রামচন্দ্র রেড্ডি, আপ্পারাও এবং রামু। নকশাল পন্থী সংগঠনকে নিকেশ করতেগত রাতে ছত্তিশগড়ের একটি জঙ্গলে অন্যান্য সহযোগীদের সাথে চালাপতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ছত্তিশগড় থেকে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), সিআরপিএফ এবং কোবিআরএ (সিআরপিএফের একটি অভিজাত ইউনিট) কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রেজোলিউট অ্যাকশনের কর্মীদের নিয়ে গঠিত একটি দল ময়নপুর থানা এলাকায় এই অপারেশনটি চালায়, যখন একটি বিশেষ ওড়িশার অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)ও জড়িত ছিল। একজন CRPF CoBRA কর্মীদের উপরিভাগে আঘাত লেগেছে কিন্তু আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।

ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই তাদের প্রচেষ্টার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। সমস্ত জওয়ানদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। সিএমও সূত্রে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকার সাহসী জওয়ানদের জন্য বিশেষ ভাতা (ঝুঁকি ভাতা) ৮০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫০০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মাঝি ওডিশায় নকশাল বিরোধী অভিযান জোরদার করার পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছেন।

এই সর্বশেষ অভিযানের মাধ্যমে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে অন্তত ৪০ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। গড়িয়াবন্দ এনকাউন্টারটি এই বছরের মৃতদেহের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড়।১৬ জানুয়ারি বিজাপুরে একটি পৃথক এনকাউন্টারে ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়। পুলিশী হিসাবে ১৪ জন বললেও মাওবাদীরা ১৮ জনের মৃত্যুর দাবি করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।