
ভোপাল, ১৬মার্চ: মধ্যপ্রদেশে আস্থা ভোটের (Trust Vote) দাবি তুলেছিল বিজেপি (BJP)। সোমবার আস্থাভোট করার কথা বলেছিলেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি ঘুরে গেল খেলা।বিধানসভা অধিবেশন (Assembly) শুরু হতেই তীব্র হইহট্টগোল শুরু করেন কংগ্রেস (Congress) বিধায়করা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে দেন স্পিকার নর্মদাপ্রসাদ প্রজাপতি।
আর তাতেই আপাতত স্বস্তি ফিরল কমলনাথ সরকারে। অন্তত ৮ মাস আগে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর ক্ষেত্রে। ঠিক একই অবস্থা মধ্যপ্রদেশেও। তার সূত্রপাত ঘটেছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায়। এর পরই বিধানসভার স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়ক। আরও পড়ুন, করোনাভাইরাসের কারণে ৪ দিন বন্ধ থাকছে কলকাতা হাইকোর্টের শুনানি, একাধিক নিষেধাজ্ঞা বেলুড় মঠে
কংগ্রেস মন্ত্রী পিসি শর্মা বলেছিলেন যে, কংগ্রেস সরকার স্পিকারের সিদ্ধান্ত মেনে চলবে এবং দল ফ্লোর টেস্টের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে না।" শর্মা আরও বলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ কংগ্রেস দলের ১৬ জন অনুপস্থিত বিধায়কদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লিখেছিলেন। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় মোট বিধায়ক সংখ্যা ২২৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১১৫ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার কোনও দলের। চার নির্দল বিধায়ক, দুই বহুজন সমাজ পার্টি-র বিধায়ক এবং এক জন সমাজবাদী পার্টির বিধায়কের সমর্থনে এত দিন সেখানে ১২১টি আসন ছিল কংগ্রেসের দখলে। ২২ জন বিদ্রোহী বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার পর তাদের আসনসংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৯৯-তে। নির্দল, বসপা এবং সপার তরফে সমর্থন তুলে নিলে সে ক্ষেত্রে তাদের পক্ষে থাকা বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়াবে ৯১-তে। সে ক্ষেত্রে বিধানসভার ম্যাজিক সংখ্যা এসে ঠেকবে ১০৪-এ। বিজেপির কাছে যেহেতু ১০৭ জন বিধায়ক রয়েছে, তাই আস্থাভোট হলে তাদের জয়লাভে কোনও বাধা থাকবে না। যদিও কমল নাথ শিবির দাবি করে আসছে সরকার টেকাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করতে অসুবিধা হবে না।
সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় করোনাভাইরাসকে ঘিরে ভীতি হ্রাসের লক্ষণ নেই। মোট COVID-19 ক্ষেত্রে ১১০ জন আক্রান্ত, মহারাষ্ট্রে ৩২ জনেরও বেশি নিশ্চিতরূপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তারপরে ২২ জন কেরলে আক্রান্ত।