কলকাতা, ১৫ মার্চ: করোনাভাইরাসের (Coronavirus) কারণে বন্ধ হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের শুনানি (Calcutta High Court)। শুধুমাত্র জরুরি মামলা ছাড়া ১৭ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত অন্য কোনও মামলার শুনানি হবে না আদালতে। রাজ্যের নিম্ন আদালতগুলিতেও একই নির্দেশিকা থাকছে। সোমবার থেকে হাইকোর্টে ঢুকতে দিতে হবে থার্মাল স্ক্রিনিং। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রবিবার বৈঠকে বসেন হাইকোর্টের তিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, সঞ্জীব ব্যানার্জি ও ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখার্জি। ওই বৈঠকে বিচারপতিরা সিদ্ধান্ত নেন, সোমবার থেকে আদালতের তিনটি দরজায় থাকবেন চিকিৎসক। থাকবে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা। কর্মীদের আদালতে না এসে, বাড়িতে থেকে কাজ না করার নির্দেশও দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়।
২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, হাইকোর্টের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আদালতে কর্মীরা রোটেশনাল পদ্ধতিতে আসবেন। প্রয়োজন না বলে বাদী-বিবাদী পক্ষকে হাজির হওয়ারও দরকার নেই। জেল বন্দীদের ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি চলবে। আইনজীবীদের ঘরেও ভিড় কমাতে হবে। মক্কেলদের আদালতে ডাকা কমাতে হবে। এছড়া করোনাভাইরাস নিয়ে চরম সতর্ক বেলুড় মঠ (Belur Math)। সংক্রমণ এড়াতে বেশ কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের আবহে বেলুড় মঠে প্রেসিডেন্ট মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। প্রতিদিন বহু সংখ্যক রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ অনুরাগী প্রেসিডেন্ট মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেই সাক্ষাত্ আপাতত বন্ধ। সপ্তাহে দুদিন দীক্ষাদান পর্ব চলে বেলুড়ে। সংক্রমণ এড়াতে সেই দীক্ষাদানও আপাতত বন্ধ থাকছে। বাইরে থেকে আসা লোকের মাধ্যমে যাতে কোনও ভাবে সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্য বন্ধ গেস্ট হাউস। আরও পড়ুন: Coronavirus In West Bengal: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ভর্তি চিকিৎসক, বেলেঘাটায় ভর্তি এক বৃদ্ধা
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জমায়েত না করার নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। একের পর এক রাজ্যে স্কুল, কলেজ, মল, রেস্তরাঁ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরাজ্যেও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার নির্দেশিক জারি হয়েছে। আপাতত স্থগিত হয়ে গেছে IPL। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হয়েছে আইএসএল ফাইনাল। জরুরি মামলা ছাড়া সুপ্রিম কোর্টেও অন্য মামলার শুনানি হচ্ছে না। সেই পথেই হাঁটল কলকাতা হাইকোর্ট। ১৭ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে। শুক্রবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী নির্দেশিকা জারি করা হবে।