নয়া দিল্লি, ৩১ অগাস্টঃ ঘটনার ২২ দিন পরেও তদন্তের কোন অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছে না আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ দ্বারা গ্রেফতার হওয়া সিভিক ভলেন্টিয়ার ছাড়া এখনও কেউ ধরা পড়েনি। আরজি করের ঘটনায় কেবল একগুচ্ছ প্রশ্ন নিয়ে সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ, নাগরিক সমাজের একাংশ। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্তব্যরত মহিলা জুনিয়র চিকিৎসকের খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (FAIMA)। ৩১ অগাস্ট যন্তর মন্তরের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার জন্যে সকল চিকিৎসকদের আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি তথা দিল্লি এমসের একজন সিনিয়র আবাসিক চিকিৎসক শুভ্রঙ্কর দত্ত।
তিনি জানিয়েছেন, আরজি করের নারকীয় ঘটনায় সুবিচারের পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারের কাছে স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্যে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে এদিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচির আয়োজন করেছেন তাঁরা। আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে বিকেল ৩-৫টার মধ্যে যন্তর মন্তরতে জড়ো হওয়ার জন্যে চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ করেছেন শুভ্রঙ্কর।
যন্তর মন্তরে প্রতিবাদ...
#WATCH | Vice President of the Federation of All India Medical Association (FAIMA) and a senior resident doctor at AIIMS New Delhi, Dr Suvrankar Datta says, "We are organising a massive peaceful protest at Jantar Mantar on 31 August to ask for justice for our colleague in RG Kar… pic.twitter.com/gfeuG9pyky
— ANI (@ANI) August 31, 2024
আরজি কর ঘটনার জট যেন কিছুতেই কাটছে না। কলকাতা পুলিশে ভরসা না রাখতে পেরে ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-এর (CBI) হাতে তুলে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনার ৩ সপ্তাহ পরেও কেন তদন্তের কোন অগ্রগতি হল না! ভাবাচ্ছে আন্দোলনকারীদের। যে কোন অপরাধের ঘটনার ক্ষেত্রে মূলত অপরাধের স্থান এবং কীভাবে তা ঘটল সেটা জানা সবার আগে প্রয়োজন। কিন্তু আরজি করের ক্ষেত্রে এই প্রাথমিক দুটি প্রশ্নের উত্তরই অধরা। ঘটনাস্থল সেমিনার হল নাকি অন্য কোথাও? কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? এখনও সেই উত্তর হাতরে বেরাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।