শেহলা রশিদ(File Photo)

দিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর: জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্টের (Jammu and Kashmir People's Movement Party) নেত্রী শেহলা রশিদের (Shehla Rashid) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রুজু করল দিল্লি পুলিশ (Delhi police)। ভারতীয় সেনা সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য প্রচারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই যুবনেত্রীর বিরুদ্ধে। একারণেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এর এ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের (sedition) মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে ১৫৩, ১৫৩ এ ও ৫০৪ ও ৫০৫ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। গত আগস্টের শুরুতেই দিল্লি পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েককে চিঠি লেখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আলাখ অলোক শ্রীবাস্তব। তিনি সেই চিঠিতেই জানান, জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্রী শেহলা রাশিদ হিংসা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে ইচ্ছাক-তভাবে ভারতীয় সেনার নামে ভুয়ো খবর রটাচ্ছেন। এখনই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হোক।

উল্লেখ্য, আলাখ অলোকের এই চিঠি পেয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয় দিল্লি পুলিশ। চিঠিতে শেলা রশিদের বেশ কয়েকটি টুইটেরও উল্লেখ করেছেন তিনি। যেখানে ওই নেত্রী উপত্যকায় সেনার হিংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে আলাখ অলোক শ্রীবাস্তবের দাবি, ভারতীয় সেনা কর্তাদের বিরুদ্ধে শেহলা রশিদ যে অভিযোগ এনেছেন তা ভিত্তিহীন। আরও পড়ুন-জেএনইউ-র ঘটনা কোনও রাষ্ট্রদ্রোহ নয়, কানহাইয়া কুমার ও উমর খালিদদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বাতিল করল দিল্লির সরকার

আজকেই জেএনইউ-র ছাত্রনেতা কানাহাইয়া কুমার ও উমর খালিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাকে মানতে চায়নি দিল্লির সরকার। সংসদ হানায় অভিযুক্ত আফজল গুরুর ফাঁসির সাজার প্রতিবাদে ২০১৬-র ফেব্রুয়ারিতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সভা করেছিলেন কানহাইয়া কুমার ও তাঁর সহযোগীরা। সেখানে ভারত বিরোধী স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতেও স্লোগান ওঠে। এর অভিযোগ যায় তৎকালীন জেএনইউ-র ছাত্র উমর খালিদ ও কানহাইয়া কুমারের দিকে। তাঁদের বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রদ্রোহের মামাল রুজু করেছিল দিল্লি পুলিশ, চলতি বছরের গোড়ায়। তবে এদিন জেএনইউ-র ঘটনাকে রাষ্ট্রদ্রোহ বলা যাবে না। এমনটাই জানিয়েছে দিল্লির আপ সরকার। যাইহোক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আম আদমি পার্টির প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।